হর্ষিত রানা। ছবি: পিটিআই।
দ্বিতীয় ম্যাচের আগেই শাস্তি পেলেন হর্ষিত রানা। ভারতীয় দলের বোলার ক্রিকেটের নিয়ম ভেঙেছেন। তাই শাস্তি পেয়েছেন আইসিসি-র থেকে। হর্ষিতের আচরণের জন্য তাঁকে সতর্ক করে দিয়েছে আইসিসি।
আইসিসি-র শৃঙ্খলাবিধির ২.৫ ধারা ভেঙেছেন হর্ষিত। আন্তর্জাতিক ম্যাচে বিপক্ষ ব্যাটারকে আউট করার পর তিনি পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে পারেন এমন কোনও ভাষা, কাজ বা অঙ্গভঙ্গি করলে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার শাস্তি পান। সেই নিয়ম ভাঙার কারণেই শাস্তি পেয়েছেন হর্ষিত।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ২২তম ওভারে ঘটনাটি ঘটে। ডেওয়াল্ড ব্রেভিসকে আউট করার পর তাঁকে আঙুল দেখিয়ে সাজঘরে ফেরার ইঙ্গিত করেন হর্ষিত। আইসিসি-র মতে, ওই আচরণে ব্যাটার প্ররোচিত হতে পারতেন। তবে ব্রেভিস ওই ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া দেখাননি। হর্ষিতের নামের পাশে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে।
গত ২৪ মাসে এটাই হর্ষিতের প্রথম অপরাধ। সে কারণেই গুরুতর শাস্তি পাননি। তবে আগামী দিনে একই রকম অপরাধ করলে শাস্তির মাত্রা বাড়তে পারে। ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন হর্ষিত। তাই শুনানির দরকার পড়েনি। প্রথম ম্যাচে ভারত ১৭ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
উল্লেখ্য, রাঁচীর পিচে পাঁচটা থেকে শিশির পড়ার সম্ভাবনা থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ৩৫০ রান তাড়া করা খুব একটা কঠিন ছিল না। তবে শুরুতেই দু’টি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল তারা। সেই চাপ এনে দিয়েছিলেন হর্ষিত। ভারতীয় দলে তাঁর জায়গা নিয়ে এমনিতেই বার বার প্রশ্ন ওঠে। গম্ভীরের সুরে সুর মেলানোর জন্য প্রথম একাদশে জায়গা পান, এমন কথা ভেসে বেড়ায় ভারতের ক্রিকেটমহলে। তবে সে দিন হর্ষিত যে দু’টি বলে রায়ান রিকেলটন (০) এবং কুইন্টন ডি কককে (০) আউট করলেন তার প্রশংসা করতেই হবে।
বাঁ হাতি রিকেলটনের বিরুদ্ধে ‘ওভার দ্য উইকেট’ বল করতে এসেছিলেন হর্ষিত। প্রথম বলই ঢুকে আসে ভেতরে। সামনের পা এগিয়ে রিকেলটন রক্ষণ করতে চাইলেও লাভ হয়নি। ব্যাট-প্যাডের মাঝখান দিয়ে বল স্টাম্প ভেঙে দেয়। দু’বল পরেই আউট হন ডি কক। এ বার হর্ষিতের আউটসুইংয়ে পরাস্ত হন তিনি। কভারের দিকে মারতে চেয়েছিলেন। বল ব্যাট ছুঁয়ে রাহুলের গ্লাভসে জমা হয়। তবে হর্ষিতের সেরা উইকেট নিঃসন্দেহে ডেওয়াল্ড ব্রেভিসকে ফেরানো। চার-ছক্কার বন্যা বইছিল ব্রেভিসের ব্যাটে। আর কিছু ক্ষণ থাকলে ম্যাচের মোড় ঘুরে যেত। বলের গতি কমিয়ে, বৈচিত্র এনে তাঁকে তুলে নেন হর্ষিত।