ক্যাচ ফেলছেন যশস্বী। ছবি: রয়টার্স।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে পাঁচ উইকেটে হেরে গিয়েছে ভারত। রেকর্ড ৩৭১ রান তাড়া করে জিতে গিয়েছে ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচে ভারতের হারের নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ। প্রচুর ক্যাচ যেমন পড়েছে, তেমনই লোয়ার অর্ডারের ব্যাটিং ধসও রয়েছে। কী বলছে সংখ্যা?
ক্রিকেটের পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করে ‘অপ্টা’ সংস্থা। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ম্যাচে মোট ১০টি ক্যাচ ফেলেছে ভারত। তার মধ্যে যশস্বী জয়সওয়াল একাই চারটি ক্যাচ ফেলেছেন। এর আগে ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে ভারত একটি টেস্টে ১০টি ক্যাচ ফেলেছিল। এ ছাড়া, প্রথম ইনিংসে ভারতের শেষ সাতটি উইকেট পড়েছে ৪১ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ ছ’টি উইকেট পড়েছে ৩১ রানে। সব মিলিয়ে ৭২ রানে পড়েছে ১৩টি উইকেট।
প্রথম পাঁচ ব্যাটার এবং শেষ ছয় ব্যাটারের অবদানের পার্থক্যও অনেকটাই। দুই ইনিংস মিলিয়ে ভারতের প্রথম পাঁচ ব্যাটার করেছেন ৭২১ রান। শেষ ছয় ব্যাটার করেছেন ৬৫ রান। সেখানে ইংল্যান্ডের লোয়ার অর্ডার প্রথম ইনিংসে যথেষ্ট ভাল খেলেছে।
যশস্বী যে ক’টি ক্যাচ ফেলেছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট ব্যাটার বড় ইনিংস খেলেছেন। প্রথম ইনিংসে বেন ডাকেটের ক্যাচ ছাড়েন ১১ রানে। তিনি করেন ৬২ রান। অলি পোপের ক্যাচ ফস্কান ৬০ রানে, তিনি করেন ১০৬ রান। হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ ছাড়েন ৮৩ রানে। তিনি ৯৯ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ডাকেটের ক্যাচ ফেলে দেন ৯৭ রানে। সেই ডাকেট ম্যাচ জেতানো ১৪৯ রান করে যান।
ম্যাচের পর ব্যাটিং ব্যর্থতার কথা মেনে নিয়েছেন কোচ গৌতম গম্ভীর। বলেছেন, “হতাশাজনক পারফরম্যান্স। প্রথম ইনিংসে ৪০ রানে সাত উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০ রানে ছ’উইকেট হারিয়েছি। প্রথম ইনিংসে ৬০০-র কাছাকাছি রান তোলা উচিত ছিল। শাসন করার মতো জায়গায় ছিলাম আমরা।”
যদিও ক্যাচ পড়া নিয়ে তাঁর মন্তব্য, “ক্যাচ তো মাঝেসাঝেই পড়ে। সেরা ফিল্ডারেরাও অনেক সময় ক্যাচ ফস্কায়। কেউ তো আর ইচ্ছা করে এ কাজ করে না।”