সিরাজের উচ্ছ্বাস। পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলেন জুরেল। ছবি: পিটিআই।
সোমবার ওভাল টেস্টের পঞ্চম দিন জিততে পারত যে কোনও দলই। ভারতের দরকার ছিল চারটি উইকেট। ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৩৫ রান। শেষ হাসি হেসেছে ভারতই। এবং ভারতকে যিনি জয় এনে দিয়েছেন, সেই মহম্মদ সিরাজ ম্যাচের সেরার পুরস্কার হাতে জানালেন, নিজের প্রতি বিশ্বাসই তাঁর সাফল্যের আসল কারণ।
সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই গুগ্লে একটি জিনিস খুঁজেছিলেন সিরাজ। ‘বিলিভ’ লেখা একটি ছবি খুঁজে সেটিকেই মোবাইলের ওয়ালপেপার হিসাবে ‘সেভ’ করেছিলেন। মোবাইল খুলতে গেলেই যাতে সেটি চোখে পড়ে। নিজের প্রতি এই বিশ্বাসই পঞ্চম দিন সিরাজের সেরাটা বার করে এনেছে।
নিজেই সে কথা জানিয়েছেন তেলঙ্গানা পুলিশের ডিএসপি। বলেছেন, “আজ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই বিশ্বাস ছিল যে আমি কিছু একটা করে দেখাতে পারব। গুগ্ল থেকে একটা ‘বিলিভ’ লেখা ছবি নিয়ে সেটাকেই মোবাইলের ওয়ালপেপার হিসাবে রেখেছিলাম। বিশ্বাস ছিল যে আমি কিছু একটা করতে পারি। অবশেষে সফল হয়েছি।”
প্রথম দিন থেকে কঠোর পরিশ্রম করার কারণেই যে ভারত সিরিজ় ড্র রাখতে পেরেছে এটা জানিয়ে দিয়েছেন সিরাজ। বলেছেন, “আমরা প্রথম দিন থেকে লড়াই করেছি। বল করার সময় চেষ্টা করেছি ধারাবাহিক ভাবে একই জায়গায় বল রেখে যাওয়ার। বিপক্ষের উপরে চাপ সৃষ্টি করতে চেয়েছি। যা পেয়েছি সেটা আমার কাছে উপরি পাওনা।”
ব্রুকের ক্যাচ ছাড়ার পর সিরাজের মনে হয়েছিল ওখান থেকেই ম্যাচটা ঘুরে যেতে পারে। সেটা যে হয়নি এটা ভেবেই খুশি তিনি। বলেছেন, “ব্রুকের ক্যাচ ছাড়ার পর ম্যাচটা পুরোপুরি ঘুরে যেতে পারত। ওই ক্যাচটা নিয়ে নিলে হয়তো আজ সকালে আসতেই হত না। কালকের মধ্যেই খেলাটা নির্ধারিত হয়ে যেত। যে ভাবে ব্রুক আমাদের আক্রমণ করে চাপে ফেলে দিয়েছিল তার জন্য ওকে কুর্নিশ।”
ওভালে জয়ের উচ্ছ্বাসের মধ্যেও একটু খচখচানি রয়েছে সিরাজের ভিতরে। লর্ডসে হারের কথা এখনও ভুলতে পারছেন না তিনি। সিরাজের কথায়, “লর্ডসের হার এখনও ব্যথা দেয়। সে দিনজাড্ডু ভাই (রবীন্দ্র জাডেজা) আমাকে বলেছিল সোজা ব্যাটে খেলতে এবং ব্যাটের মাঝখান দিয়ে শট খেলার চেষ্টা করতে। বার বার বলছিল বাবার কথা ভাবতে এবং ওঁর কথা ভেবে খেলতে। তার পরেও জিততে পারিনি।”