আইপিএল ট্রফি। —ফাইল চিত্র।
প্রতি বছর আইপিএল থেকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের রোজগার বেড়ে চলেছে। শেষ হয়ে গিয়েছে এ বারের আইপিএল। আরও এক বার ক্রোড়পতি লিগ থেকে ভরেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কোষাগার। এ বার কত টাকা রোজগার করেছে বিসিসিআই? মাঝে এক সপ্তাহ প্রতিযোগিতা বন্ধ থাকায় কি ক্ষতি হয়েছে বোর্ডের?
২০২৩ সালে আইপিএল থেকে বোর্ডের রোজগার হয়েছিল ১৬,৪৯৩ কোটি টাকা। ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছিল ২০,৬৮৬ কোটি টাকা। এ বার তা আরও বেড়েছে। একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এ বারের আইপিএল থেকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ২২,৫৬৩ কোটি টাকা রোজগার করেছে। মাঝে এক সপ্তাহ বন্ধ না থাকলে টাকার অঙ্ক আরও বাড়ত বলে জানা গিয়েছে।
কোথায় কত টাকা রোজগার?
কয়েকটা মাধ্যম থেকে রোজগারের অঙ্ক জানা গেলেও সব মাধ্যম থেকে রোজগারের হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে কোন কোন মাধ্যম থেকে বোর্ড রোজগার করেছে তা জানা গিয়েছে।
সম্প্রচার স্বত্ব— আইপিএলের প্রতিটা ম্যাচের জন্য প্রায় ১৩০ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা বোর্ডকে দেয় স্টার স্পোর্টস। সেই হিসাবে পুরো প্রতিযোগিতার জন্য ৯৬৭৮ কোটি টাকা পেয়েছে বিসিসিআই। তা ছাড়া ভায়াকম ১৮-এর কাছে রয়েছে আইপিএলে ডিজিটাল স্বত্ব। সেখান থেকেও টাকা পেয়েছেন বোর্ড।
‘ইকোনমিক টাইমস’ একটা রিপোর্টে জানিয়েছে, এ বার বিজ্ঞাপনের সংখ্যা গত বারের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেড়েছে। তার ফলে বিজ্ঞাপন থেকেও বাড়তি টাকা পেয়েছে বোর্ড।
টাইটেল স্পনসর— আইপিএলের টাইটেল স্পনসর টাটা গোষ্ঠী। ২০২৪ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত চুক্তি বাড়িয়েছে তারা। পাঁচ বছরের জন্য ২৫০০ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে। অর্থাৎ, প্রতি বছর ৫০০ কোটি টাকা করে পাবে বোর্ড। এ বারও সেই টাকা পেয়েছে তারা।
বাকি স্পনসরদের থেকে রোজগার— টাটা বাদে আইপিএলের আরও অনেক স্পনসর রয়েছে। তারা হল— মাই ১১ সার্কেল, এঞ্জেল ওয়ান, রুপে, সিয়াট, আরামকো। তাদের কাছ থেকেও প্রতি বছর একটা নির্দিষ্ট টাকা পায় বোর্ড।
বাকি মাধ্যম থেকে রোজগার— এর বাইরেও রোজগার করে বিসিসিআই। প্রতিটা ম্যাচের টিকিট বিক্রি করে যা লাভ হয় তার একটা অংশ বোর্ডকে দিয়ে হয় দলগুলোকে। পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু সংস্থা থেকে ক্রিকেটারদের জার্সি, দলের পতাকা প্রভৃতি বিক্রির একটা অংশও বোর্ড পায়।
সব মিলিয়ে এ বার বোর্ডের রোজগার হয়েছে ২২,৫৬৩ কোটি টাকা। মাঝে এক সপ্তাহ আইপিএল বন্ধ ছিল। সেই সময় খেলা সম্প্রচার না হওয়ায় লোকসান হয়েছে স্টারের। পাশাপাশি বিজ্ঞাপন বন্ধ থাকায় লোকসান হয়েছে। তা না হলে রোজগার আরও বেশি হত বোর্ডের। তবে এই টাকার পুরোটা নিজেদের কোষাগারে রাখতে পারে না বিসিসিআই। প্রতিটা দলকে লভ্যাংশ হিসাবে ৪২৫ কোটি টাকা করে দেয় বিসিসিআই। অর্থাৎ, এ বারের আইপিএল থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি ঢুকেছে বোর্ডের কোষাগারে।