India Vs Bangladesh

কানে শুনতে পাচ্ছেন না শ্রেয়স! কেকেআর অধিনায়কের হঠাৎ কী হল বাংলাদেশে গিয়ে

বাংলাদেশ সফরে ভাল ছন্দে রয়েছেন শ্রেয়স। চট্টগ্রাম টেস্টে তিনি করেছিলেন ৮৬ রান। মীরপুরেও খেললেন ৮৭ রানের ইনিংস। মিডল অর্ডারে ভারতীয় দলের অন্যতম ভরসা তিনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:২৪
Share:

বাংলাদেশ সফরে ভাল ছন্দে রয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক শ্রেয়স। ছবি: আইসিসি।

কানে শুনতে পাচ্ছেন না শ্রেয়স আয়ার। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট খেলার মাঝে নিজেই এ কথা জানিয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক। নিজেকে বধির বললেও ব্যাট করতে বা খেলতে সমস্যা হচ্ছে না তাঁর।

Advertisement

মীরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে তাঁর ব্যাট ভরসা দিয়েছে ভারতীয় দলকে। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে খেলেছেন ঝকঝকে ৮৭ রানের ইনিংস। ঋষভ পন্থের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটের জুটিতে তুলেছেন ১৫৯ রান। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে ভাল রান করেছিলেন শ্রেয়স। বাংলাদেশ সফরে ভাল ছন্দে রয়েছেন তিনি। সাবলীল ভাবে ব্যাটিং করছেন। শুক্রবার খেলার শেষে সাংবাদিক বৈঠকে আসা শ্রেয়সের কাছে জানতে চাওয়া হয় তাঁর সাফল্যের রহস্য। শর্ট বলের বিরুদ্ধে দুর্বলতার জন্য কম সমালোচনা শুনতে হয়নি শ্রেয়সকে। তা নিয়েও প্রশ্ন করা হয় কেকেআর অধিনায়ককে।

শ্রেয়স বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের বোলাররা আমাকে বেছে নিয়েছিল। আমাকে সমানে শর্ট বল করছিল ওরা। ব্যাট করতে নামার পর থেকেই আমাকে লক্ষ্য করে নিয়েছিল ওরা। বল নড়াচড়া করছিল তখন। তবু আমাকে টানা শর্ট বল করা হচ্ছিল।’’ শর্ট বলের বিরুদ্ধে আপনার দুর্বলতা রয়েছে বলেই কি বাংলাদেশ এমন পরিকল্পনা করেছিল? শ্রেয়স বলেছেন, ‘‘ধারাভাষ্যকাররা নাকি এমন বলছেন। মাঠের বাইরে থেকে অনেকেই অনেক কিছু বলেন। অনেকেই বলেন, আমি শর্ট বলের বিরুদ্ধে দুর্বল। বিষয়টা আমার মাথাতেও ঢুকে গিয়েছিল একটা সময়। আমি বল ছেড়ে দিলে বা রক্ষণাত্মক খেললে সমস্যা হয় না। যদিও ওভাবে খেললে রান হয় না। এরকম একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।’’

Advertisement

শ্রেয়স নিজেই জানিয়েছেন, কী ভাবে এই সমস্যা দূর করেছেন। ভারতীয় দলের তরুণ ব্যাটার বলেছেন, ‘‘সবাই যখন কোনও সমস্যা নিয়ে কথা বলে, তখন ব্যাটারদের মাথাতেও সেটা ঘোরে। তাই তাঁদের (সমালোচকদের) জন্য নিজের কান দুটোকে আমি অকেজো করে ফেলেছি। বধির হয়ে গিয়েছি। এটা এক জন খেলোয়াড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাকিটা নিজে নিজেই হয়ে গিয়েছে। দিনের শেষে উপেক্ষাই ফল দেয়।’’

পন্থের সঙ্গে জুটি গড়া নিয়ে শ্রেয়স বলেছেন, ‘‘যখন ব্যাট করেত গিয়েছিলাম, তখন বল তেমন স্পিন করছিল না। মাঠে নেমেই পন্থের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমি শুধু বলের লাইনে গিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি। চট্টগ্রামে যে ভাবে খেলেছিলাম, এখানেও সে ভাবেই খেলার চেষ্টা করেছি। এক দিক থেকে জোরে বোলাররা টানা বল করছিল। আমি একটা শেষন ব্যাট করার চেষ্টা করেছি। তাই বলে শট মারিনি এমন নয়। সুযোগ পেলেই বড় শট নিয়েছি। নিজের সঙ্গে কথা বলেছি। যাক কিছুটা রান করতে পেরেছি।’’

টেস্ট ক্রিকেটের জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন শ্রেয়স। সুইপ শট নিয়ে বাড়তি পরিশ্রম করেছেন। প্রশংসা করেছেন পন্থের ইনিংসেরও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন