বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শতরানের পর শুভমন গিল। ছবি: পিটিআই।
অপর প্রান্তে উইকেট পড়লেও ধৈর্য হারাননি তিনি। ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করেছেন। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শতরানের ইনিংস খেলেছেন শুভমন গিল। ব্যাট করার সময় সাজঘর থেকে তাঁকে বার্তা পাঠিয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। কী বলেছিলেন কোচ?
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২২৯ রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। ১৪৪ রানে ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। তখনও জিততে ৮৫ রান দরকার ছিল। সেই সময় আর একটি উইকেট পড়লে চাপ আরও বাড়ত। সেই কারণেই শুভমনকে বার্তা পাঠিয়েছিলেন গম্ভীর। ম্যাচ শেষে সে কথা জানিয়েছেন শুভমন। তিনি বলেন, “একটা সময় আমাদের উপর চাপ বেড়ে গিয়েছিল। তখন সাজঘর থেকে বার্তা পাঠানো হয় যে আমাকে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করতে হবে। সেটাই করেছি।” অর্থাৎ, কোচের নির্দেশ পালন করেছেন ভারতের সহ-অধিনায়ক।
নিজের স্বাভাবিক খেলা থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন শুভমন। বড় শট কম খেলেছেন। দৌড়ে রান নিয়েছেন বেশি। ১২৬ বলে শতরান করেছেন। ২০১৯ সালের পর কোনও আইসিসি প্রতিযোগিতায় এটি কোনও ভারতীয় ব্যাটারের করা সবচেয়ে মন্থর শতরান। কিন্তু তার পরেও এই শতরানকে অনেকটা এগিয়ে রাখছেন শুভমন। তিনি বলেন, “এটা আমার কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস। কোনও আইসিসি প্রতিযোগিতায় এই প্রথম শতরান করলাম। নিজের খেলায় আমি খুব খুশি।”
দুবাইয়ের উইকেটে রান তাড়া করা যে সহজ হবে না তা ব্যাট করতে নেমেই বুঝে গিয়েছিলেন শুভমন। তাই পরিকল্পনা বদল করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমি আর রোহিত ভাই ব্যাট করতে নেমে বুঝতে পেরেছিলেন কাট-পুল মারা সহজ হবে না। উইকেটে পড়ে বল আরও মন্থর হচ্ছিল। তাই পেসারদের বিরুদ্ধে ক্রিজ় ছেড়ে বেরিয়ে খেলছিলাম। স্পিনারদের বিরুদ্ধে সামনের পায়ে খেলতে সমস্যা হচ্ছিল। তাই আমি আর বিরাট ভাই ঠিক করি, যতটা পারব পিছনের পায়ে খেলব। দৌড়ে রান নেওয়ার দিকে বেশি নজর দিয়েছিলাম। নইলে চাপ আরও বাড়ত।”
গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
১২৯ বলে ১০১ রানের ইনিংসে ন’টি চার ও দু’টি ছক্কা মেরেছেন শুভমন। সেই দু’টি ছক্কার মধ্যে কোনটি তাঁর বেশি ভাল লেগেছে? কাউকে এগিয়ে রাখেননি ভারতীয় ব্যাটার। শুভমনের জবাব, “একটা ছক্কা আমার উপর থেকে চাপ কমিয়েছিল। আর একটা ছক্কা শতরানের কাছে নিয়ে গিয়েছিল। তাই দুটোর গুরুত্বই আমার কাছে সমান।”