যশস্বী জয়সওয়াল। ছবি: পিটিআই
সবে দু’বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার তাঁর। এই অল্প সময়েই ভারতীয় দলে নিজের জায়গা পাকা করেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। বিশেষ করে ভারতের টেস্ট দলের ওপেনার হিসাবে একের পর এক কীর্তি গড়ে চলেছেন তিনি। শুক্রবার থেকে ইডেন গার্ডেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে ভারত। তার আগে যশস্বী জানিয়েছেন, রোহিত শর্মা বা বিরাট কোহলির বিকল্প হতে তিনি আসেননি।
ইডেন টেস্টের আগে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে যশস্বী জানিয়েছেন, রোহিত ও কোহলির বিকল্প হওয়ার কোনও লক্ষ্য তাঁর ছিলই না। তিনি বলেন, “রোহিত ভাই ও কোহলি ভাই কেরিয়ারে যা করেছে তা অসাধারণ। ওরা একটা প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। তার মধ্যে আমিও পড়ি। ওদের কাছে শিখতে পেরেছি। এটাই আমার সৌভাগ্য। ওদের জুতোয় পা গলাতে আসিনি। চেষ্টা করলেও সেটা কোনও দিন পারব না।”
তা হলে ক্রিকেটার হিসাবে কী লক্ষ্য রয়েছে যশস্বীর? তাঁর লক্ষ্য নিজের নাম করা। যশস্বী বলেন, “আমি জানি, আমার শক্তি কী। সেই অনুযায়ী খেলি। আত্মবিশ্বাস রাখি। আমি চাই লোকে এক দিন আমার নামও করবে। ভাল খেলে দেশকে সাফল্য এনে দিতে চাই। যে দিন থেকে ক্রিকেট খেলছি, সে দিন থেকে এটাই আমার লক্ষ্য।”
২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের মাটিতে তাদের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল যশস্বীর। অভিষেক ইনিংসেই ১৭১ রান করেছিলেন তিনি। সেই শুরু। তার পর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি যশস্বীকে। ভারতের হয়ে ২৬ টেস্টে ২৪২৮ রান করেছেন তিনি। ৫১.৬৫ গড়ে রান করেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। টেস্টে সাতটি শতরান ও ১২টি অর্ধশতরান করেছেন। সর্বাধিক অপরাজিত ২১৪।
ভারতের হয়ে সাদা বলের ক্রিকেটও খেলেছেন যশস্বী। তবে তার পরিমণ কম। মাত্র একটি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন তিনি। করেছেন ১৫ রান। ২৩ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৭২৩ রান করেছেন তিনি। ছোট ফরম্যাটে একটি শতরান ও পাঁচটি অর্ধশতরান রয়েছে তাঁর। ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলে ছিলেন যশস্বী। কিন্তু খেলার সুযোগ পাননি। তার পর দল থেকে বাদ পড়েন।
ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে অভিষেক শর্মা জায়গা পাকা করে নেওয়ায় যশস্বীর সুযোগ কমে গিয়েছে। শুভমন গিলও এখন ওপেন করেন। সঞ্জু স্যামসনের মতো ওপেনার দলে রয়েছেন। ফলে সাদা বলের ক্রিকেটে এখন যশস্বীর সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে লাল বলের ক্রিকেটে তিনি নিয়মিত ওপেনার। সেই ফরম্যাটেই নিজের নাম করার লক্ষ্যে এগোচ্ছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।