Virat Kohli and Rohit Sharma

রোহিত-কোহলিকে কতটা প্রয়োজন, আরও এক বার বলে দিলেন ভারত অধিনায়ক রাহুল

প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে বলেছিলেন। ম্যাচের পর আবার বললেন। দু’দিনে নিজের মন্তব্যে কেএল রাহুল বুঝিয়ে দিলেন, এক দিনের দলের রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির কোনও বিকল্প নেই।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৫ ২৩:১০
Share:

রোহিত শর্মা (বাঁ দিকে) এবং বিরাট কোহলি। ছবি: পিটিআই।

রাঁচীতে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে এক বার বলেছিলেন। ম্যাচের পর আবার বললেন। পর পর দু’দিনে নিজের মন্তব্যে ভারতের অধিনায়ক কেএল রাহুল বুঝিয়ে দিলেন, এক দিনের দলের রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির কোনও বিকল্প নেই। রোহিত-কোহলি থাকলে যে তাঁর কাজ সহজ হয়ে যায় সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন।

Advertisement

ম্যাচের পর রাহুল বলেন, “রোহিত আর কোহলিকে এ ভাবে খেলতে দেখলে খুব মজা লাগে। ওরা যে স্বাধীনতা নিয়ে খেলে সেটা গোটা কেরিয়ার জুড়েই করেছে। নতুন কিছু নয় ওদের কাছে। অনেক দিন ধরে ওদের চোখের সামনে দেখছি। সাজঘরে ওদের দেখতে পাওয়া আমার কাছে সব সময়েই খুব মজার।”

ম্যাচের আগে এই রাহুলই বলেছিলেন, “রোহিত ও কোহলির গুরুত্ব আমাদের দলে খুব বেশি। ওদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটার সাজঘরে থাকলে সকলের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়ে যায়। ওদের অভিজ্ঞতা দলের সকলকে অনেক সাহায্য করে। তাই ওদের পেয়ে আমি খুব খুশি।”

Advertisement

প্রথমে ব্যাট করে ৩৫০ রান তুলেও হারের ভয় যে জাঁকিয়ে বসেছিলেন তাঁর মনে, তা অস্বীকার করেননি রাহুল। ভারত অধিনায়ক বলেছেন, “পেট গুড়গুড় করছিল না এ কথা যদি বলি তা মিথ্যা বলা হবে। এমনিতেই অনেক দিন পর এক দিনের ক্রিকেট খেলতে নেমেছি। তার উপর আমি অধিনায়ক। আমার থেকে অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। গোটা ম্যাচজুড়েই শান্ত থাকার চেষ্টা করেছি। তবে ওরা আমাদের শেষ সীমা পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছে। নিঃসন্দেহে একটা উত্তেজক ম্যাচ খেললাম।”

আগামী দিনে যে ছয়ে ব্যাট করতে তাঁর অসুবিধা নেই, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাহুল। তাঁর কথায়, “ছ’নম্বরে ব্যাট করতে কোনও অসুবিধা নেই। দলের জন্য কাজ করতেই হবে। গত ২-৩টে সিরিজ়ে এই ভূমিকাই আমাকে দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে আমার উন্নতিও হচ্ছে।”

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম এক দিনের ম্যাচের স্কোরকার্ড।

এ দিকে, রবিবার এক ওভারে ক্রিজ়ে জমে যাওয়া মার্কো জানসেন এবং ম্যাথু ব্রিৎজ়কেকে তুলে নেন কুলদীপ যাদব। সেটাই কি ম্যাচের মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। কুলদীপ বলেন, “আমার সেটাই মনে হয়। প্রথম স্পেলের পর যখন বল করতে এলাম তখন রাহুলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। আমরা চাইছিলাম ওদের ব্যাটারদের আক্রমণ করতে। কাজটা কঠিন ছিল। তবে এটাও জানতাম এ দিক-ও দিক করে একটা উইকেট ফেলে দিতে পারলেই ওরা চাপে পড়বে।”

চারটি উইকেট নিয়েছেন কুলদীপ। তার মধ্যে জানসেনের উইকেটই কি সেরা? মানতে চাননি কুলদীপ। বলেন, “ও মাঠের চারদিকে মারছিল। ভাল বল করলেও মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছিল। বড় শট খেলার জন্য করছিল। আসলে ক্রিকেটে মাঝে মাঝে ভাগ্যেরও দরকার হয়। আমি ভাগ্যবান যে ওর উইকেটটা পেয়েছি। ওই উইকেটটাই ম্যাচ বদলে দিয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement