পীযূষ চাওলা। ছবি: সমাজমাধ্যম।
দেশের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন ১৩ বছর আগে। তার পর চুটিয়ে আইপিএল, ঘরোয়া ক্রিকেট খেললেও ভারতের জার্সি আর গায়ে পরা হয়নি। সেই পীযূষ চাওলা শুক্রবার সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টের সাহায্যে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
চাওলা লিখেছেন, “মাঠে দু’দশকেরও বেশি সময় কাটানোর পর, সুন্দর খেলাটাকে এ বার বিদায় জানানোর সময় চলে এসেছে। ক্রিজ় ছেড়ে চলে গেলেও ক্রিকেট সারাজীবন আমার মধ্যে বেঁচে থাকবে। এ বার সময় এসেছে একটা নতুন যাত্রার। ক্রিকেট থেকে পাওয়া শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।”
২০০৭-এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১-এর এক দিনের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন চাওলা। দেশের হয়ে তিনটি টেস্ট, ২৫টি এক দিনের ম্যাচ এবং সাতটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। সব মিলিয়ে ৪৩টি উইকেট নিয়েছেন।
চাওলা লিখেছেন, “দেশের হয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ক্রিকেট খেলা এবং ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১১ এক দিনের বিশ্বকাপের দলে থাকা, এই যাত্রাপথের প্রতিটা মুহূর্তই আমার কাছে আশীর্বাদ ছাড়া আর কিছু নয়। এই স্মৃতি সারাজীবন হৃদয়ে থাকবে।”
বিদায়বেলায় কোচ, আইপিএল দলগুলিকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন চাওলা। লিখেছেন, “আইপিএলে যে দলগুলোর হয়ে খেলেছেন, সেই পঞ্জাব কিংস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, চেন্নাই সুপার কিংস এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে অনেক ধন্যবাদ। আমার ক্রিকেটজীবনে একটা বিশেষ অধ্যায় হয়ে থেকে যাবে আইপিএল। প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করেছি।”
কেকেআরের হয়ে ২০১৪ সালের আইপিএল জয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। আইপিএলের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী তিনি। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলা শুরু করেন ১৫ বছর বয়সে। উত্তরপ্রদেশের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এবং অনূর্ধ্ব-২২ দলেও খেলেছেন। ২০০৫-০৬ মরসুমে চ্যালেঞ্জার সিরিজ়ে প্রথম নজরে আসেন সচিন তেন্ডুলকরকে একটি গুগলিতে আউট করে। ১৭ বছরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ১০০০-এর বেশি উইকেট রয়েছে তাঁর।