করুণ নায়ার। — ফাইল চিত্র।
সাত বছর পর জাতীয় দলে ফিরেছেন তিনি। প্রথম টেস্টে খেলা প্রায় নিশ্চিত। তবে অনিশ্চিত হয়ে যেত আর একটু হলেই। অনুশীলনে বড় চোট পেতে পারতেন করুণ নায়ার। সতীর্থের বল এসে লাগে কুঁচকিতে। তবে ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। চিকিৎসকের শুশ্রূষা নিয়ে এখন প্রায় সুস্থ করুণ।
বুধবার লিডসে অনুশীলন করছিল ভারতীয় দল। করুণের বিরুদ্ধে বল করছিলেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। আচমকাই প্রসিদ্ধের একটি বল নিচু হয়ে যায়। লাইন বুঝতে পারেননি করুণ। বল লাগে তাঁর কুঁচকিতে। সামান্য আওয়াজ করে নেটের এক ধারে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন করুণ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর দিকে এগিয়ে যান প্রসিদ্ধ। জিজ্ঞাসা করেন, সব ঠিক আছে কি না। কিছু ক্ষণ পর প্রসিদ্ধ বুড়ো আঙুল তুলে জানান তিনি ঠিক আছেন।
প্রসিদ্ধের আর দু’টি বল খেলার পরেই নেট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন করুণ। নেটের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন চিকিৎসক। তাঁর কাছে গিয়ে শুশ্রূষা নেন। তবে মুখে হাসি ছিল ভারতীয় ক্রিকেটারের। দেখে মনে হয়েছে চোট গুরুতর নয়।
২০১৬-য় অভিষেকের পর মাত্র ছ’টি টেস্ট খেলেছেন করুণ। প্রথম দু’টি ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর তৃতীয় ম্যাচে ত্রিশতরান করেন দ্বিতীয় ভারতীয় ব্যাটার হিসাবে। তবে পরের অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ে খারাপ খেলার কারণে বাদ পড়েন। তার পর সাত বছর লেগে গিয়েছে জাতীয় দলে ফিরতে।
আসন্ন সিরিজ়ের আগে ২০১৮ সালের ইংল্যান্ড সফরের কথা ভুলতে পারছেন না করুণ। বিশেষ করে তৎকালীন অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং কোচ রবি শাস্ত্রীর উপেক্ষা এখনও দগদগে ঘায়ের মতো রয়েছে করুণের জীবনে। সেটিও ছিল ইংল্যান্ড সফর। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ়ের পুরোটাই বেঞ্চে বসে কাটাতে হয়েছিল করুণকে। পঞ্চম টেস্টে তাঁর খেলার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কোহলি-শাস্ত্রীরা ভারত থেকে হনুমা বিহারীকে নিয়ে এসেছিলেন। অথচ, বিহারী মূল দলে ছিলেন না। করুণের বদলে তাঁকেই খেলানো হয়।
এ বার ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে সেই অবহেলা নিয়ে মুখ খুলেছেন করুণ। ‘মেল স্পোর্টস’-কে তিনি বলেন, ‘‘তখন মনে হচ্ছিল কেউ আমাকে মাটিতে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে এবং আমি বুঝে উঠতে পারছি না কোথায় যাব।’’ শেষ পর্যন্ত কেনাকাটা করতে বেরিয়ে পড়েছিলেন করুণ। বলেন, ‘‘সুযোগ না পাওয়ার খবরটা যখন আমার কানে এসে পৌঁছোয়, আমি বুঝতে পারছিলাম না কী করব, কার সঙ্গে কথা বলব। ঠিক করলাম হেঁটে অক্সফোর্ড স্ট্রিটে যাব। যা পছন্দ হবে তা-ই কিনব। সব কিছু কিনব। দামি জিনিস কিনতে হবে, আমি কখনওই এ রকম নই। কিন্তু আমার মনে হল, এমন কিছু ঘটার জন্য কেন অপেক্ষা করছি, যার উপর আমার কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।’’