Virat Kohli

হতাশায়, যন্ত্রণায় ভেঙে পড়ে নেতৃত্ব ছেড়েছিলেন কোহলি! কেন? দু’বছর পর জানালেন বিরাট

বছর দুয়েক আগে আরসিবির অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন কোহলি। দায়িত্ব নেন ফ্যাফ ডুপ্লেসি। অধিনায়কত্বের শেষের সেই কয়েক দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে এত দিনে মুখ খুললেন কোহলি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৩ ১৩:৩৭
Share:

কোহলি জানিয়েছেন, সেই সময় খুবই ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। কোনও কিছুতেই আর বিশ্বাস রাখতে পারছিলেন না। — ফাইল চিত্র

দীর্ঘ আট বছর দলের অধিনায়ক থেকেছেন। এক বারও ট্রফি হাতে তুলতে পারেননি। কাছাকাছি এসেও ঠোঁট-কাপের দূরত্ব থেকে গিয়েছে। বাধ্য হয়ে বছর দুয়েক আগে আরসিবির অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন কোহলি। দায়িত্ব নেন ফ্যাফ ডুপ্লেসি। অধিনায়কত্বের শেষের সেই কয়েক দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে এত দিনে মুখ খুললেন কোহলি। জানালেন নিজের যন্ত্রণার কথা।

Advertisement

কোহলি জানিয়েছেন, সেই সময় খুবই ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। কোনও কিছুতেই আর বিশ্বাস রাখতে পারছিলেন না। কোহলির কথায়, “আমার অধিনায়কত্বের শেষের দিকে নিজের উপর কোনও বিশ্বাসই পড়ে ছিল না। কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম। মাথা পুরো ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। নিজেই নিজেকে বলছিলাম, ‘অনেক কিছু দেখে ফেলেছি। আর এ সব চালাতে পারছি না। আর কিছু সহ্য করতে পারছি না’।” বোঝাই গিয়েছে, কতটা যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে সেই সময়ে গিয়েছেন কোহলি।

তার পরেই যোগ করেছেন, “পরের মরসুমে নতুন ক্রিকেটাররা এল। সবার নতুন ভাবনা, নতুন সুযোগ। ওরা উত্তেজিত ছিল। আমি ততটা উত্তেজিত ছিলাম না। কিন্তু ওরা দলে এমন একটা পরিবেশ তৈরি করল যে টানা তৃতীয় বছর আমরা প্লে-অফে পৌঁছে গেলাম। এখন প্রতিটা মরসুম আগের মতোই উত্তেজনা নিয়ে শুরু করি।”

Advertisement

কোহলির স্মৃতিচারণে উঠে এসেছে ২০১৯ সালের কথাও। সে বার প্রথম ছ’টা ম্যাচেই হেরেছিল আরসিবি। তার পরে শেষ আটটা ম্যাচের পাঁচটা জিতলেও শেষ করে সবার নীচে। সেই প্রসঙ্গে কোহলি বলেছেন, “২০১৯-এ আমরা টানা ছ’টা ম্যাচে হেরেছিলাম। পরিষ্কার মনে আছে, ছ’নম্বর ম্যাচটার পরে রাতে আমাদের একটা গেট টুগেদার ছিল। হেরে গেলেও অধিনায়ক হিসাবে সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু মাথার মধ্যে কিছু কাজ করছিল না। কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। নিজেই নিজেকে চিনতে পারিনি তখন। কোনও বিশ্বাস পড়ে ছিল না মনে।”

কোহলির সংযোজন, “সেই গেট টুগেদারে প্রথমেই এবিকে (ডিভিলিয়ার্স) চোখে পড়ে। দু’জনেই মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পড়ি। দু’জনেই ভাবছিলাম, জীবনে কখনও কোথাও টানা ছ’টা ম্যাচে হারিনি। ১৫ বছর ক্রিকেট খেলার পরেও।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন