India vs South Africa at Eden Gardens

ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন পাত্তাই দিলেন না বুমরাহ, জবাব দিলেন ইডেনের পিচ নিয়ে, শামিকে টপকে গেলেন জসপ্রীত

জসপ্রীত বুমরাহ খেলতে নামলেই প্রশ্ন ওঠে তাঁর ওয়ার্কলোড নিয়ে। ইডেন গার্ডেন্সে প্রথম দিনের খেলা শেষে সাংবাদিক বৈঠকে ফিটনেস নিয়ে জল্পনা উড়িয়ে দিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। জানালেন, শরীরের খেয়াল কী ভাবে রাখতে হয় সেটা তিনি জানেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:৪৬
Share:

পাঁচ উইকেটের বল হাতে সাজঘরে ফিরছেন বুমরাহ। শুক্রবার ইডেনে। ছবি: পিটিআই।

ইংল্যান্ড সিরিজ়‌ে বেছে বেছে তিনটি টেস্ট খেলেছিলেন। এর পর এশিয়া কাপ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ় সিরিজ়‌ের পর এ বার দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ়‌ে খেলছেন। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছিল তাঁর ওয়ার্কলোড নিয়ে। ইডেন গার্ডেন্সে প্রথম দিনের খেলা শেষে সাংবাদিক বৈঠকে ফিটনেস নিয়ে জল্পনা উড়িয়ে দিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। জানালেন, শরীরের খেয়াল কী ভাবে রাখতে হয় তিনি জানেন।

Advertisement

বুমরাহের ওয়ার্কলোড নিয়ে মাঝেমাঝেই প্রশ্ন ওঠে। তাঁকে বেছে বেছে খেলার সুযোগ দেওয়া নিয়েও চর্চা হয়। শুক্রবার বুমরাহকে শুরুতে একটু বিরক্তই দেখাল। তিনি বললেন, “যে ফরম্যাটেই খেলি না কেন আমি নিজের সেরাটা সব সময় দেওয়ার চেষ্টা করি। এই প্রশ্নগুলো আমার জন্য নয়। তাই উত্তর দেব না। আমি যতটা সম্ভব বেশি ম্যাচ খেলার চেষ্টা করি। নিজের শরীরেরও খেয়াল রাখার চেষ্টা করি।”

একটু থেমে বুমরাহ যোগ করেন, “সব ফরম্যাটেই আমি নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। এ ভাবেই ক্রিকেটজীবনে এগিয়ে গিয়েছি। ভবিষ্যতেও সেটাই করব। বাকিটা আমার হাতে নেই। যার ইচ্ছা সে-ই খেলতে পারে। যত দিন পর্যন্ত দলের হয়ে অবদান রাখতে পারছি, নতুন নতুন জিনিস শিখছি এবং দলকে সাহায্য করতে পারছি, তত দিন আমি খুশি।”

Advertisement

ইডেনের পিচের অসমান বাউন্স নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স। সে সবেও পাত্তা দিলেন না বুমরাহ। বললেন, “এটাই তো টেস্ট ক্রিকেটের পরীক্ষা, তাই না? অন্য পরিবেশে গেলে অন্য রকম চ্যালেঞ্জ থাকে। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে পাঁচটা সেশনে টেস্ট শেষ হয়ে যেতে দেখেছি। পিচ কেমন হবে সেটা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও উত্তর দেওয়া যায় না।”

বুমরাহের সংযোজন, “আমরা ইংল্যান্ডে গিয়ে আলাদা পরিবেশ পাই। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েও তাই। আমাদের মানিয়ে নিতে হয়। দল হিসাবে কখনওই পিচের দিকে আঙুল তুলতে বা অভিযোগ জানাতে রাজি নই। আমাদের দলে দক্ষ ক্রিকেটারেরা রয়েছে। তাই জন্যই তারা জাতীয় দলে খেলে। মানিয়ে নিয়ে সমাধান খুঁজে বার করাটাই পেশাদার ক্রিকেটারদের কাজ।”

ভারতের পিচে সাধারণত স্পিনারেরাই দাপট দেখান। একমাত্র ইডেনেই পেসারেরা সাহায্য পান। সেই ইডেনেই বুমরাহ পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি বলেছেন, “ভারতের পিচে স্পিনারেরা প্রচুর উইকেট পায়। তাই ছোট স্পেলে বল করে প্রভাব ফেলতে পারলে ভালই লাগে। নিজের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। তবে এখনও খেলা বাকি।”

ইডেনের পিচে বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে বল করার প্রসঙ্গে বুমরাহ বলেছেন, “টেস্ট ক্রিকেটে ধৈর্যটাই প্রথম শিক্ষা। আপনি যদি জাদু বলের জন্য মরিয়া হয়ে থাকেন তা হলে রান হজম করবেন। নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে চাপ তৈরি করতে হবে। পিচ থেকে সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে। তবু ধৈর্য রাখতে হবে।”

এ দিকে, টেস্টে ভারতের উইকেটশিকারিদের মধ্যে বুমরাহ টপকে গেলেন মহম্মদ শামিকে। ৫১টি ম্যাচে এখনও পর্যন্ত ২৩১টি উইকেট হয়েছে বুমরাহের। শামির ৬৪টি ম্যাচে ২২৯টি উইকেট রয়েছে। শীর্ষে অনিল কুম্বলে ৬১৯ উইকেট। বুমরাহ রয়েছেন ১১তম স্থানে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement