রিঙ্কু সিংহ। —ফাইল চিত্র।
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাননি রিঙ্কু সিংহ। নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর জানিয়েছিলেন, দলের ভারসাম্যের কারণেই রিঙ্কুকে বাইরে রাখতে হয়েছে। এতে ক্রিকেটারের কোনও দোষ নেই। আগামী সপ্তাহে এশিয়া কাপের জন্য ভারতের দলঘোষণা হবে। সেই দলেও রিঙ্কুর জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। তার নেপথ্যে দায়ী কলকাতা নাইট রাইডার্স।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা না পাওয়ার পর থেকেই রিঙ্কুর খেলার মান নেমেছে। তার জন্য দায়ী কলকাতা। ২০২৪ ও ২০২৫ সালের আইপিএলে রিঙ্কুকে ফিনিশারের ভূমিকায় খেলিয়েছে তারা। ফলে দু’বারই খুব কম বল খেলেছেন তিনি। ২০২৪ সালে ১১৩ ও গত মরসুমে ১৩৪ বল খেলেছেন রিঙ্কু। আইপিএলের মতো প্রতিযোগিতায় যদি কোনও ব্যাটার এত কম বল খেলার সুযোগ পান তা হলে তিনি বড় রান করে জাতীয় দলের দৌড়ে কী ভাবে থাকবেন? সেটাই হয়েছে রিঙ্কুর সঙ্গে।
ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের টপ অর্ডার তৈরি আছে। অভিষেক শর্মা, সঞ্জু স্যামসন, তিলক বর্মা, সূর্যকুমার যাদব ও হার্দিক পাণ্ড্য। এই পাঁচ জনকে সরানোর জায়গা নেই। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক তথা আইপিএলের গুজরাত টাইটান্সের অধিনায়ক শুভমন গিলের জায়গা হবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আরও দুই তারকা যশস্বী জয়সওয়াল ও লোকেশ রাহুলকেও এই দলে জায়গা দেওয়া মুশকিল।
এই প্রসঙ্গে এক প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচক সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, “অনেকেই বলেন একে, ওকে নেওয়া উচিত। কিন্তু তাঁরা বোঝেন না, কার বদলে নেব? শ্রেয়স আয়ার চলতি বছর ১৮০-এর স্ট্রাইক রেটে ৬০০ রান করেছে। কিন্তু ওকে কার জায়গায় নেওয়া যাবে? এমনকি, শুভমনকেও ঢোকানো যাচ্ছে না। কারণ, ওকে দলে নিলে তো বসিয়ে রাখা যাবে না। কার বদলে ওকে খেলানো হবে?”
ওই প্রাক্তন নির্বাচকের মতে, একমাত্র রিঙ্কুকে সরিয়ে কাউকে নিতে পারেন অজিত আগরকরেরা। তিনি বলেন, “একমাত্র রিঙ্কুর জায়গায় কাউকে নেওয়া যেতে পারে। শ্রেয়সের জায়গা হতে পারে। কিন্তু টপ অর্ডারে কারও ঢোকার জায়গা নেই।”
এ কথা স্পষ্ট যে, অলরাউন্ডার হিসাবে শিবম দুবে রয়েছেন। দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসাহে জিতেশ শর্মাকে নেওয়া হতে পারে। তাঁরা ফিনিশারের ভূমিকা পালন করতে পারেন। এত দিন ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে এই ভূমিকাতেই রিঙ্কুকে দেখা যেত। কিন্তু ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর সাধারণত এমন ক্রিকেটার পছন্দ করেন না যিনি শুধু ব্যাট বা বল করেন। তিনি অলরাউন্ডারদের বেশি পছন্দ করেন। সেই লড়াইয়েও পিছিয়ে পড়ছেন রিঙ্কু। এখন দেখার, এশিয়া কাপেও কি দলের বাইরেই থাকতে হবে তাঁকে।