কেএল রাহুল। — ফাইল চিত্র।
আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস প্লে-অফে উঠতে না পারলেও সফল হয়েছিলেন কেএল রাহুল। প্রতিযোগিতায় ৫০০-র উপর রান রয়েছে তাঁর। এ বার লাল বলের ক্রিকেটে নেমেও সফল হলেন তিনি। ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে ভারত ‘এ’ দলের দ্বিতীয় বেসরকারি টেস্ট শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। প্রথম দিনই শতরান করেছেন রাহুল। দিনের শেষে ভারত ‘এ’ দলের রান ৩১৯/৭।
রাহুলের এই রান স্বস্তি দেবে গৌতম গম্ভীর এবং শুভমন গিলকে। প্রথম একাদশে নিজের জায়গা আরও পোক্ত করে নিলেন তিনি। সব ঠিক থাকলে প্রথম টেস্টে যশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে রাহুলকেই ওপেন করতে দেখা যাবে।
রাহুল যে ওপেন করবেন এটা বোঝা গিয়েছে ভারতের ব্যাটিং অর্ডার দেখে। আগের ম্যাচে যশস্বীর সঙ্গে ওপেন করেছিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরন। এ দিন যশস্বীর সঙ্গে রাহুল ওপেন করেন। তবে যশস্বী এই ম্যাচেও ব্যর্থ। মাত্র ১৭ রান করে ক্রিস ওকসের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান। তিন নম্বরে নামা অভিমন্যুও (১১) ওকসের শিকার।
চতুর্থ উইকেটে রাহুলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন করুণ নায়ার। তবে বৃষ্টির কারণে প্রথম সেশনে বেশ কিছুটা সময় নষ্ট হয়। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে মাত্র ২১ ওভার খেলা হয়। ফলে দ্বিতীয় সেশনে অনেকটা সময় ধরে খেলা হয়।
ইংল্যান্ডের দলে সুযোগ পাওয়া ওকস নিজের ফিটনেস পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে এই টেস্ট খেলছেন। প্রথম দিনে তিনি বেশ সফল। মেঘলা আকাশের নীচে তাঁর বল ভালই নড়াচড়া করেছে। তা সামলাতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে ভারতীয় ব্যাটারদের। তাঁর তিনটি শিকারই এলবিডব্লিউ। খারাপ বল করেননি জর্জ হিলও। দ্বিতীয় সেশনে একটিই উইকেট হারায় ভারত। করুণ (৪০) ফিরে যান ওকসের বলে।
অর্ধশতরানের পরে রাহুলকে দেখা যায় আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলতে। দ্রুত শতরান করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তিনি। চা-বিরতির আগে পর্যন্ত ৯৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। শেষ সেশন শুরু হতেই দ্রুত শতরান করেন। ১৬৮ বলে ১১৩ রান করে তিনি আউট হয়েছেন হিলের বলে। মেরেছেন ১৫টি চার এবং একটি ছয়।
করুণ ফেরার পর রাহুলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ধ্রুব জুরেল। ইংল্যান্ডের পিচে আবার ভাল খেললেন তিনি। সাবধানি হয়ে খেলেছেন। আবার খারাপ বলে শট মারতেও দ্বিধা করেননি। ওকস এবং হিলের বল ভালই সামলাতে দেখা যায় তাঁকে। শুরুটা ভাল করলেও বড় রান করতে পারেননি জুরেল। ৫২ রান করে হিলের বলে বোল্ড হয়ে যান।
জুরেলের মতো শুরুটা ভাল করেছিলেন নীতীশ রেড্ডিও। তবে, ৩৪ রানে ফিরে যান। প্রথম দিনের শেষে ক্রিজ়ে রয়েছেন তনুশ কোটিয়ান (৫) এবং অংশুল কমবোজ (১)।