(বাঁ দিকে) আইপিএলের ট্রফি। (ডান দিকে) এই হলুদ ট্যাক্সি চড়ে আনন্দবাজার দফতরে এল ট্রফি। —নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবার আইপিএলের ট্রফি এল আনন্দবাজার দফতরে। দুপুরে ট্রফি এসে পৌঁছোয়। কলকাতার ঐতিহ্য হলুদ ট্যাক্সি চেপে কলকাতায় এল ট্রফি। ভারতের পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন শহর ঘুরে কলকাতায় এল ট্রফি। প্রথমে তা এল আনন্দবাজার দফতরে। সংস্থার কর্মীরা ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলেন। উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
গত বারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সের উদ্যোগে এ বার আইপিএলের ‘ট্রফি ট্যুর’ হচ্ছে ভারতের পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন শহরে। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এই ‘ট্রফি ট্যুর’। ভুবনেশ্বরে থেকে শুরু হয়েছিল। এর পর জামশেদপুর, রাঁচী, গ্যাংটক, পটনায় যায় ট্রফিটি। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি এবং দুর্গাপুরের পর কলকাতায় এল ট্রফি। এই শহরে ট্রফি পরিক্রমা শুরু হল আনন্দবাজার দফতর দিয়ে। এর পর যাবে সিটি সেন্টার ১ এবং সাউথ সিটি মলে।
এ বারের প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে ২২ মার্চ। যে হেতু কেকেআর গত বারের চ্যাম্পিয়ন, তাই তাদের ম্যাচ দিয়েই প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে। ইডেনেই হবে আইপিএলের উদ্বোধন। প্রথম ম্যাচে নাইটদের সামনে বিরাট কোহলিদের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। নিয়ম মেনে চ্যাম্পিয়ন দলের শহরেই হবে ফাইনাল। তাই এ বারের ফাইনালও হবে ইডেনে।
ট্রফির ছবি তোলার জন্য উৎসাহ আনন্দবাজার দফতরে। —নিজস্ব চিত্র।
বেঙ্গালুরু ছাড়াও মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস, রাজস্থান রয়্যালস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে দু’টি করে ম্যাচ খেলবে কেকেআর। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, গুজরাত টাইটান্স, লখনউ সুপার জায়ান্টস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে কেকেআর একটি করেই ম্যাচ খেলবে।
লিগে ১৪টি ম্যাচের মধ্যে সাতটি ম্যাচ হবে ইডেনে। ২২ মার্চ বেঙ্গালুরু, ৩ এপ্রিল হায়দরাবাদ, ৬ এপ্রিল লখনউ, ২১ এপ্রিল গুজরাত, ২৬ এপ্রিল পঞ্জাব, ৪ মে রাজস্থান, ৭ মে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খেলবে কেকেআর। ২৬ মার্চ রাজস্থান, ৩১ মার্চ মুম্বই, ১১ এপ্রিল চেন্নাই, ১৫ এপ্রিল পঞ্জাব, ২৯ এপ্রিল দিল্লি, ১০ মে হায়দরাবাদ ও ১৭ মে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে তারা।
রোহিত শর্মা-কোহলিরা গত রবিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এর ফলে আইপিএল নিয়ে উৎসাহ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।