মহম্মদ শামি। — ফাইল চিত্র।
চলতি মরসুমের রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার হয়ে হয়তো ৯৩ ওভার বল করেছেন, তবে ভারতের হয়ে আর সাদা জার্সি পরার সম্ভাবনা ক্ষীণ মহম্মদ শামির। এমনকি ভবিষ্যতে সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও তাঁকে আর না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন নির্বাচকেরা। শোনা যাচ্ছে, নির্বাচকেরা বার বার তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন ইংল্যান্ড সিরিজ়ে খেলার। শামি তাতে রাজি হননি বলেই তাঁকে পুরোপুরি ব্রাত্য করে দেওয়া হতে পারে।
শেষ বার মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের হয়ে খেলেছিলেন শামি। তার পর আর কোনও ফরম্যাটেই তাঁকে জাতীয় দলের হয়ে ডাকা হয়নি। এই মুহূর্তে ভারতের ক্রিকেট যে দিকে এগোচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে শামির পক্ষে কোনও ফরম্যাটেই আর সুযোগ পাওয়া মুশকিল। টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতে তিনি আকাশদীপ এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের সঙ্গে লড়াইয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন।
কিছু দিন আগে শামি অভিযোগ করেছিলেন, নির্বাচকেরা তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগই রাখেন না। তবে নির্বাচকদের দাবি ঠিক উল্টো। সংবাদ সংস্থাকে বোর্ডের এক শীর্ষকর্তা বলেছেন, “শামি কেমন আছে সেই খবর নেওয়ার জন্য বোর্ডের নির্বাচক এবং উৎকর্ষ কেন্দ্রের সাপোর্ট স্টাফেরা একাধিক বার ওর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। নির্বাচক কমিটি প্রচণ্ড ভাবে চেয়েছিল যাতে শামিকে ইংল্যান্ডে পাওয়া যায়। কারণ জসপ্রীত বুমরাহ যে তিনটে টেস্টের বেশি খেলতে পারবে না সেটা আগে থেকেই জানা ছিল। শামির মতো বোলারকে কে ইংল্যান্ডে চাইবে না?”
নির্বাচক কমিটির সিনিয়র সদস্যেরা শামিকে একাধিক বার বার্তা পাঠিয়েছিলেন। জানতে চেয়েছিলেন তাঁর ফিটনেস কোন জায়গায় রয়েছে। পাশাপাশি ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে ভারত এ দলের হয়ে অন্তত একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার অনুরোধ করেছিলেন। সেই অনুরোধ ফিরিয়ে দেন শামি। জানান, ওয়ার্কলোডের কারণে তাঁর কথা যেন ইংল্যান্ড সিরিজ়ে না ভাবা হয়।
বোর্ডের ওই কর্তার দাবি, “শামির সঙ্গে কোনও কথা না হওয়ার যে দাবি করা হয়েছে তা পুরোপুরি সত্যি নয়। আমাদের যে ক্রীড়াবিজ্ঞানীরা রয়েছেন, তাঁদের কাছে ওর মেডিক্যাল রিপোর্ট রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার মতো ধকল শামির শরীর সইতে পারবে কি না, সেটা ওঁরা জানেন।
বাংলার হয়ে শামি কোনও ম্যাচেই লম্বা স্পেল করেননি। বেশির ভাগ সময়ে চার ওভারের স্পেল করেছেন। দিনের খেলায় অনেক বার বিরতি নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বলের গতির গড় ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটারের বেশি নয়। শামির বয়স এবং হাঁটুর সমস্যার কথা মাথায় রাখলে, ম্যাচের মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।