নজরে: সিএসকে ওপেনার আয়ুষের সঙ্গে জাডেজা। —নিজস্ব চিত্র।
বাংলা ব্যান্ড ‘ভূমি’-র ‘বারান্দায় রোদ্দুর’ গানটি সকলেরই মনে আছে। সংলাপ শুনলেই বোঝা যায়, বিশেষ কোনও ব্যক্তির জন্য অপেক্ষা করার পরে হতাশায় গানটি লেখা হয়েছে। মঙ্গলবার ইডেনের ছবিটাও ছিল সে রকম। ৪৩ বছরের কিংবদন্তির জন্য সব রকম আয়োজন করে রেখেছিলেন তাঁর ভক্তেরা। কেউ তাঁর ছবি এঁকে এনেছিলেন। কেউ ব্যাট, টি-শার্ট, ডায়েরি এনেছিলেন অটোগ্রাফের আশায়। কিন্তু ‘ধোনির দেখা নাই’।
ভক্তদের হতাশ করে টিম হোটেলেই বসে ছিলেন তিনি। দু’দিন ধরে মাঠে এলেন না। তাঁকে দেখার জন্য বাংলার বিভিন্ন জেলা, ঝাড়খণ্ড এবং বিহার থেকেও ভক্তেরা এসেছিলেন। তাঁদের কারও কাছে ম্যাচের টিকিট নেই। শুধুমাত্র এক বার ধোনিকে দেখবেন বলে ইডেনের বাইরে ভিড় করেছিলেন। সকলেই ফিরে যান হতাশা নিয়ে।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ধোনি আদৌ খেলবেন তো? প্রশ্ন অনেকেরই। এরই মধ্যে একটি ম্যাচে টসের সময় ধোনি বলেছিলেন, ‘‘পরের ম্যাচ খেলব কি না তা-ই জানি না।’’ এ বার ইডেনকে কি বিশ্রামের স্থান হিসেবে বেছে নেবেন? চেন্নাই সুপার কিংসের বোলিং কোচ এরিক সিমন্স সাংবাদিক বৈঠকে বলছিলেন, ‘‘ধোনি ওর পরিস্থিতি খুব ভাল করে বিবেচনা করতে পারে। প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই ও সব সময় কঠোর পরিশ্রম করছে। ওর ফিটনেস নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। ও নিজের মতো প্রস্তুতি নেয়। আগামীকাল ওর খেলা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।’’
চেন্নাইয়ের এই প্রতিযোগিতা থেকে কিছু পাওয়ার নেই। তারা চেষ্টা করছে আগামী মরসুমের জন্য আয়ুষ মাত্রে, শেখ রশিদদের তৈরি করতে। ধোনির তত্ত্বাবধানে প্রত্যেক দিন দীর্ঘক্ষণ ব্যাট করেন তাঁরা। ধোনি অনুশীলনে না থাকলেও সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন, এই দুই নতুন তারার উপরে নজর রাখতে। সিমন্স বলছিলেন, ‘‘ধোনি যখন অধিনায়ক ছিল না, তখনও দলের সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করত। অধিনায়ক হিসেবেও একই কাজ করছে। ও নিজেকে নিয়ে ভাবেই না। তরুণ উঠতি খেলোয়াড়েরা উন্নতি করছে কি না সেই দিকেই
নজর রাখছে।’’
ধোনি না আসায় সমর্থকেরা মুখ কাঁচুমাচু করেই বাড়ি ফিরছিলেন। তবে রবীন্দ্র জাডেজাকে দেখে তাঁরা কিছুটা খুশি হন। ‘দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো’-র মতোই বিষয়টা। শেষ ম্যাচে সিএসকের হয়ে চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে প্রায় জিতিয়ে দিচ্ছিলেন জাডেজা। মঙ্গলবারও তাঁর মধ্যে মরিয়া মনোভাব লক্ষ্য করা যায়। নেটে দু’বার ব্যাট করেন। তার পরে চলে যান ইডেনের বাইশ গজ দেখতে। মাটি টিপে পিচ দেখে ফিরে যান ড্রেসিংরুমে।
ইডেন থেকে বেরনোর সময় তাঁকে দেখে ছুটে আসে এক খুদে সমর্থক। হতাশ করেননি জাডেজা। কাছে ডেকে ছবি তুলে মাথায় হাত বুলিয়ে দেন।
বুধবার ম্যাচে কী ফল হবে তা কেউ বলতে পারেন না। তবে চেন্নাই যে ইডেনের সমর্থকদের মন জয় করতে মরিয়া, তা এ দিনই পরিষ্কার হয়ে গেল।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে