পাকিস্তানের মাঠে ফাঁকা গ্য়ালারি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে। ছবি: পিটিআই।
দুই দেশে দুই ছবি। এক দিকে লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে চলছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। নিউ জ়িল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে গ্যালারি প্রায় ফাঁকা। পাকিস্তান গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ায় সেখানকার দর্শকদের যে আর এই প্রতিযোগিতায় আগ্রহ নেই তা এই ছবি থেকেই স্পষ্ট। অন্য দিকে ভারত ফাইনালে ওঠার পর থেকেই দুবাইয়ের মাঠে টিকিট কেনার চাহিদা শুরু হয়ে গিয়েছে। ২৫ হাজারের দর্শকাসনের মাঠে টিকিট কিনতে অনলাইনে ভিড় জমিয়েছিলেন এক লাখের বেশি মানুষ। মাত্র দু’ঘণ্টায় সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে।
দুবাইয়ের মাঠে ১২টি ক্যাটেগরির টিকিট বিক্রি হয়েছে। সবচেয়ে কম দাম ভারতীয় মুদ্রায় ৬,৫০০ টাকা। সবচেয়ে বেশি দাম ৩ লক্ষ টাকা। সব দামের টিকিটই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু করে আইসিসি। সেখানে দেখা যায়, লাইনে এক লক্ষের বেশি মানুষ রয়েছেন। এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর অনেকে টিকিট কেটেছেন। ৮০ হাজারের বেশি মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও টিকিট পাননি। হতাশ হতে হয়েছে তাঁদের।
দুবাইয়ে ভারতের প্রথম ম্যাচ থেকেই টিকিটের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। সকলের আগে ভারতের ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু করেছিল আইসিসি। টিকিটের চাহিদা দেখে আইসিসিও অবাক হয়ে গিয়েছিল। আমিরশাহি ক্রিকেট বোর্ডের সিওও সুভান আহমেদ বলেন, “ধীরে ধীরে ভিড় বেড়েছে। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে মাঠের ৬০ শতাংশের বেশি দর্শকাসন ভর্তি ছিল। ভারত-পাকিস্তান ও ভারত-নিউ জ়িল্যান্ড ম্যাচে তা বেড়ে হয়েছিল ৯৫ শতাংশ। সেমিফাইনালেও সেই ছবিই দেখা গিয়েছে। অনেকে আবার যাতায়াতের সমস্যায় পড়ে টিকিট কেনার পরেও খেলা দেখতে আসতে পারেননি। ফাইনালে মাঠ ভর্তি থাকবে।”
ভারতের খেলা থাকায় টিকিটের দাম বেশি রাখা হয়েছিল দুবাইয়ে। তার পরেও ক্রিকেট কেনার আগ্রহ কমেনি। যত দামই হোক না কেন, টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এই আগ্রহ দেখে খুশি তারা। ভারতের খেলা থাকাতেই এই আগ্রহ দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন সুভান।
পাকিস্তানে অবশ্য শুরু থেকেই দর্শকের সংখ্যা কম। পাকিস্তানের ম্যাচেও মাঠের অনেক আসন ফাঁকা ছিল। পাকিস্তান বাদ পড়ার পর সেই আগ্রহ আরও কমেছে। জানা গিয়েছে, মাঠে যাতে দর্শক আসেন, তাই বিভিন্ন ক্লাব ও সংস্থাকেও টিকিট দেওয়া হয়েছে। তার পরেও মাঠ ভরেনি। কিন্তু দুবাইয়ের মাঠে ঠিক উল্টো ছবি দেখা যাচ্ছে।