এশিয়া কাপে ভারতের বিরুদ্ধে এ ভাবেই উল্লাস করেছিলেন পাকিস্তানের সাহিবজ়াদা ফারহান। —ফাইল চিত্র।
নিজের অবস্থান থেকে সরছেন না সাহিবজ়াদা ফারহান। বার বার একই কাজ করছেন তিনি। ফলে বার বার বিতর্কও হচ্ছে। এশিয়া কাপে ভারতের বিরুদ্ধে ‘একে-৪৭’ উল্লাস করে বিতর্কে জড়িয়েছেন ফারহান। আইসিসি সতর্ক করেছে তাঁকে। কিন্তু তার পরেও একই কাজ করলেন পাকিস্তানের ব্যাটার। বিতর্ক জিইয়ে রাখলেন তিনি।
এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের কাছে পাকিস্তান হারলেও ফারহান দেশে ফিরে বীরের সম্মান পেয়েছেন। বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনের মুখ হয়েছেন তিনি। তেমনই একটি বিজ্ঞাপনে আবার ‘একে-৪৭’ উল্লাস করে দেখিয়েছেন তিনি। সেই বিজ্ঞাপন সামনে আসার পর আবার বিতর্ক হয়েছে।
ভারতের বিরুদ্ধে সুপার ফোরের ম্যাচে অর্ধশতরানের পর ফারহান তাঁর ব্যাটের হাতলটিকে কাঁধের কাছে রেখে এমন ভাবে উচ্ছ্বাস করেন, যেন মনে হচ্ছে বন্দুক চালাচ্ছেন। খেলাধুলোর জগতে এই ধরনের উচ্ছ্বাস ‘একে৪৭ সেলিব্রেশন’ নামে পরিচিত। মুহূর্তের মধ্যে এই ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় সমালোচনা।
ফারহানের বিরুদ্ধে আইসিসি-র কাছে অভিযোগ করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। পাক ব্যাটার দোষ স্বীকার করায় আইসিসি শুধুমাত্র তাঁকে সতর্ক করে ছেড়ে দিয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের উল্লাস থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। তার পরেও একই ধরনের উল্লাস করলেন ফারহান।
তাঁর উল্লাসের ধরন নিয়ে এশিয়া কাপের মাঝেই মুখ খুলেছিলেন ফারহান। আত্মপক্ষ সমর্থন করেছিলেন তিনি। পাকিস্তানের ওপেনার বলেছিলেন, “ওটা ওই মুহূর্তেই মাথায় এসেছিল। আমি অর্ধশতরানের পর খুব একটা উল্লাস করি না। কিন্তু হঠাৎ মনে হল, এই ম্যাচে করব। তাই উল্লাস করেছি। আমি জানি না, কে কী ভাবে তাকে নিয়েছে। আমার তাতে কিছু যায়-আসে না।” প্রতিপক্ষের নাম ভারত হওয়াতেই কি ওই ধরনের উল্লাস করতে ইচ্ছা করেছিল ফারহানের? সেই প্রশ্নের উত্তর কিছুটা এড়িয়ে যান তিনি। একটু ঘুরিয়ে নিজের খেলার ধরন নিয়ে কথা বলেন ফারহান। পাক ব্যাটার বলেন, “আমি আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে ভালবাসি। প্রতিপক্ষের নাম দেখি না। ভারতের জায়গায় অন্য কেউ থাকলেও একই কায়দায় খেলতাম।”
দেশে ফেরার পর বীরের সম্মান পেয়েছেন ফারহান। সমাজমাধ্যমে একাধিক ছবি এবং ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, খাইবার পাখতুনখোয়ার চারসদ্দা গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরেছেন ফারহান। স্থানীয় মানুষ গলায় মালা পরিয়ে সম্মান জানিয়েছেন তাঁকে। কালো টিশার্ট পরা ফারহানকে হাসিমুখে সেই অভ্যর্থনা গ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে। তাঁর হাতে একটি ব্যাটও তুলে দিতে দেখা গিয়েছে, যেখানে ফারহানের সেই উচ্ছ্বাসের একটি স্টিকার সাঁটা রয়েছে। তাতে লেখা ‘গানমোড’।