Pakistan's Catch Drop

সামনে সেই অস্ট্রেলিয়া, ক্যাচ ফেলার প্রদর্শনী পাকিস্তানের, বেঙ্গালুরুতে ফিরল পুরনো স্মৃতি

গত আট বছরে একাধিক বার বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়া। প্রতি বারই পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের হাত থেকে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ পড়েছে। শুক্রবারও তাই হল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৩২
Share:

ক্যাচ ফসকাচ্ছেন উসামা। ছবি: টুইটার।

বিশ্বকাপে সামনে অস্ট্রেলিয়াকে দেখলেই কি কুঁকড়ে যায় পাকিস্তান? প্রতিযোগিতার ইতিহাস দেখলে তেমনটা মালুম হতে বাধ্য। গত আট বছরে একাধিক বার বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছে দুই দেশ। প্রতি বারই পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের হাত থেকে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ পড়েছে। দেখা গিয়েছে, সেই ক্যাচ ফেলারই মাসুল শেষ পর্যন্ত দিতে হয়েছে পাকিস্তানকে।

Advertisement

শুক্রবারই যেমন। তিন-তিনটে ক্যাচ পড়ল পাকিস্তানের ফিল্ডারদের হাত থেকে। তার মধ্যে দু’টি ক্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেই দু’টি ছিল ডেভিড ওয়ার্নারের। প্রথমটি হয় ম্যাচের শুরুর দিকে। শাহিন আফ্রিদির বলে পুল করতে গিয়েছিলেন ওয়ার্নার। ব্যাটের কানায় লেগে বল আকাশে উঠে যায়। শর্ট মিড অনে দাঁড়ানো উসামা মিরকে নড়তেও হয়নি। একদম হাতেই লোপ্পা ক্যাচ এসেছিল। সেটি হাত আর বুকের মাঝখান দিয়ে গলিয়ে দেন তিনি।

ওয়ার্নার পাক বোলারদের পিটিয়ে শতরান করেন। তার পরে আবার সুযোগ দেন। ব্যক্তিগত ১০৫ রানের মাথায় উসামাকে ব্যাকফুটে পুল মেরেছিলেন। ডিপ মিড উইকেটে দাঁড়ানো আবদুল্লাহ শফিককে একটু দৌড়ে এসে ক্যাচ ধরতে হত। কিন্তু হাতে লেগেও বল ফসকে গিয়ে চার হয়ে যায়। তৃতীয় ক্যাচটি মিস্ হয় স্টিভ স্মিথের। উসামার বলে খোঁচা দিয়েছিলেন। প্রথম স্লিপে থাকা বাবর আজমের হাতে ক্যাচ যায়। সহজ ক্যাচই ছিল। ধরতে পারেননি পাকিস্তানের অধিনায়ক।

Advertisement

পাকিস্তানের ক্যাচ ফেলার ইতিহাস রয়েছে ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে। সে বার কোয়ার্টার ফাইনালে শেন ওয়াটসনের ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলেন রাহাত আলি। সেই ওয়াটসন অপরাজিত ৬৪ রান করে অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়ে দেন। চার বছর পরে টনটনে অ্যারন ফিঞ্চের ক্যাচ ফেলেছিলেন আসিফ আলি। তিনি ৮২ করেন। সেই ম্যাচে এক পাক দর্শকের হতাশার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। তৈরি হয়েছিল প্রচুর মিম। তিনি শুক্রবার বেঙ্গালুরুতেও হাজির ছিলেন। একই রকম হতাশ দেখাল তাঁকে।

এর পর ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ম্যাথু ওয়েডের ক্যাচ ফেলেন হাসান আলি। তখন অস্ট্রেলিয়ার জিততে ১২ বলে ২২ দরকার। সেই ওয়েড একাই ম্যাচ জিতিয়ে ফাইনালে তুলে দেন অস্ট্রেলিয়াকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন