পাকিস্তান ক্রিকেট দল। — ফাইল চিত্র।
অ্যান্ডি পাইক্রফ্টের সঙ্গে বৈঠকের ভিডিয়ো তোলা নিয়ে আইসিসি-র রোষের মুখে পড়েছিল পাকিস্তান। নিয়ম ভাঙার অভিযোগ তোলা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা চিঠি দিয়ে পাকিস্তান বোর্ড জানিয়েছে, নিয়ম মেনেই এই কাজ করা হয়েছে।
প্রতিযোগিতার আয়োজক দলের এক সদস্য সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, “পাকিস্তান পাল্টা চিঠিতে জানিয়েছে, তাদের মিডিয়া ম্যানেজার দলেরই সদস্য। তাই ক্রিকেটার এবং ম্যাচ আধিকারিকদের এলাকায় প্রবেশাধিকার রয়েছে তাঁরও। ফলে তাঁর উপস্থিতিতে কোনও নিয়ম ভাঙা হয়নি।”
পিসিবি আরও জানিয়েছে, যদি নিয়ম না-ই মানা হয়ে থাকে, তা হলে আইসিসির-র উচিত ম্যাচ রেফারির সঙ্গে কথা বলা এবং বিষয়টি দুর্নীতি বিরোধী কমিটির কাছে জানানো হয়েছে কি না তার খোঁজ নেওয়া। সংবাদ সংস্থার তরফে প্রতিযোগিতার আয়োজকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি আইসিসি-র ম্যাচ রেফারি জানিয়েছেন পাকিস্তান দলের দুর্নীতি বিরোধী আধিকারিককে।
বুধবার পাকিস্তান-ওমান ম্যাচের আগে পাইক্রফ্টের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আলি আঘা ও প্রধান কোচ মাইক হেসন। সেই বৈঠকের ভিডিয়ো তুলেছিলেন পাকিস্তানের মিডিয়া ম্যানেজার নইম গিলানি। বৈঠকের কারণে খেলা শুরু হতে এক ঘণ্টা দেরি হয়েছিল। হোটেল থেকে মাঠের উদ্দেশে দেরিতে রওনা দিয়েছিল পাক দল। সেই বৈঠকের এক ভিডিয়ো প্রকাশ করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ভিডিয়ো তুলে আইসিসি-র রোষে পড়েছিল পাকিস্তান।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছিল, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ‘প্লেয়ার্স অ্যান্ড ম্যাচ অফিসিয়ালস এরিয়া’-র নিয়ম ভেঙেছে। কোনও প্রতিযোগিতা চলাকালীন সেই এলাকায় ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ ও ম্যাচ অফিসিয়াল ছাড়া কেউ যেতে পারেন না। তা হলে কোন নিয়মে পাকিস্তানের মিডিয়া ম্যানেজার সেখানে গেলেন?
এক সূত্র সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছিল, পাক ক্রিকেট বোর্ডকে চিঠি পাঠিয়েছেন আইসিসি-র সিইও সংযোগ গুপ্ত। ওই সূত্র বলেছিল, “আইসিসি-র সিইও সংযোগ গুপ্ত বলেছেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এশিয়া কাপের নিয়ম ভেঙেছে। টসের সময় যে বিতর্ক হয়েছিল তা মেটাতেই ওই বৈঠক করা হয়েছিল। কিন্তু বৈঠকের সময় পাকিস্তান তাদের মিডিয়া ম্যানেজারকে সেখানে নিয়ে যায়। তিনি মোবাইলে ভিডিয়ো করার চেষ্টা করেন। আইসিসি-র দুর্নীতিদমন শাখার প্রধান তাঁকে আটকান।”
ওই সূত্র জানিয়েছিল, এই ঘটনার পর আবার ‘নাটক’ করে পাকিস্তান। মিডিয়া ম্যানেজারকে বৈঠকে না ঢুকতে দিলে তারা আমিরশাহির বিরুদ্ধে খেলবে না বলে হুমকি দেয়। ফলে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়। সেখানে গিয়ে ভিডিয়ো করেন নইম। আরও এক বার নিয়ম ভাঙে পাকিস্তান। ওই সূত্র বলেছিল, “প্লেয়ার্স অ্যান্ড ম্যাচ অফিসিয়ালস এরিয়ার নিয়ম ভাঙার পরেও প্রতিযোগিতার স্বার্থে নইমকে বৈঠকে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে তিনি বৈঠকের ভিডিয়ো করে বড় অপরাধ করেছেন। এর খেসারত পাকিস্তানকে দিতে হতে পারে।”