গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জিতেশ শর্মাকে মঙ্গলবার মাঁকড়ীয় আউট করেন দিগ্বেশ রাঠী। আম্পায়ারের কাছে আউটের আবেদনও করেন তিনি। কিন্তু লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ আউটের আবেদন ফিরিয়ে নেন। পন্থের এই সিদ্ধান্তে চটেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। লখনউ অধিনায়কের সমালোচনা করেছেন অভিজ্ঞ অফ স্পিনার। তাঁর অভিযোগ, প্রকাশ্যে দিগ্বেশকে অপমান করেছেন পন্থ।
অশ্বিন বরাবরই মাঁকড়ীয় আউটের পক্ষে। ক্রিকেটের নিয়মের মধ্যে থাকা এই আউট নিয়ে কোনও বিতর্কের অবকাশ নেই বলেই মনে করেন তিনি। তাই পন্থের ‘মহানুভবতা’ পছন্দ হয়নি তাঁর। পন্থকে এক হাত নিয়ে অশ্বিন বলেছেন, ‘‘অধিনায়কের কাজ হল দলের ক্রিকেটারদের পাশে থাকা। দলের কোনও বোলারকে ছোট করা অধিনায়কের কাজ হতে পারে না। আউটের আবেদন ফিরিয়ে নিতে চাইলে, সেটা আগেই করা উচিত ছিল। জানি না, ওরা দলের মধ্যে আলোচনা করছিল কিনা। তবে কোটি কোটি মানুষের সামনে এক জন তরুণ ক্রিকেটারকে অপদস্থ না করলেও চলত। আমরা বোধহয় অনেক ক্রিকেটারের ক্ষেত্রেই এমন করি না। এক জন বোলারকে কেন এ ভাবে ছোট করা হল? এটা আসলে অপমানের সামিল।’’
দিগ্বেশ আবেদন করার পর ঘটনাটি খতিয়ে দেখার জন্য মাঠের আম্পায়ারেরা পাঠিয়ে দেন তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। তার পর আউটের আবেদন ফিরিয়ে নেন লখনউ অধিনায়ক। অশ্বিনের মতে, আবেদন প্রত্যাহার করতেই হলে তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যাওয়ার আগে করা উচিত ছিল। বিষয়টি আরও পরিণত ভাবে সামলানো উচিত ছিল পন্থের।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন বলেছেন, ‘‘এক জন বোলারকে প্রকাশ্যে এ ভাবে ছোট করা হলে, ভবিষ্যতে সে আর কখনও মাঁকড়ীয় আউট করার চেষ্টা করবে না। ক্রিকেটপ্রেমীরাও হয়তো বলবেন, ওর এ ভাবে আউট না করাই উচিত। কেন করবে না বলুন তো? এটা নিয়মই শুধু নয়। ব্যাটারকে এগিয়ে যেতে দেওয়ার অর্থ, তাকে ২ রান নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘দিগ্বেশ আমার কেউ হয় না। আত্মীয় নয়। বন্ধুও নয়। ওকে চিনিই না। আমার বক্তব্য হল, এক জন বোলারের সঙ্গে কি এমন করা উচিত, যা তাকে প্রভাবিত করতে পারে? আসলে এক জন বোলারকে নিয়ে কে আর মাথা ঘামায়! তাই কোটি কোটি মানুষের সামনে আবেদন প্রত্যাহার করে অপমান করাই যায়।’’ উল্লেখ্য, অশ্বিন নিজেও আইপিএল খেলেছেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে।