Duleep Trophy 2025

দলীপে ব্যর্থ বাংলার শামি, মুকেশ! আইপিএল জিতিয়ে লাল বলের ক্রিকেটে শতরান পাটীদারের

ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে নজর কাড়তে পারলেন না মহম্মদ শামি ও মুকেশ কুমার। দলীপে ব্যর্থ তাঁরা। লাল বলের ক্রিকেটে ফিরে শতরান করলেন রজত পাটীদার।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৫ ১৯:০৬
Share:

মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।

এ বারের দলীপ ট্রফিকে পাখির চোখ করেছেন ভারতের বেশ কয়েক জন ক্রিকেটার। তাঁরা প্রত্যেকেই ভারতের টেস্ট দলে ঢোকার লড়াইয়ে রয়েছেন। সেই লড়াইয়ে আরও খানিকটা পিছিয়ে পড়লেন মহম্মদ শামি ও মুকেশ কুমার। দলীপে প্রথম দিন নজর কাড়তে পারলেন না তাঁরা। দুই বোলার ব্যর্থ হলেও নজর কেড়েছেন রজত পাটীদার। শতরান করেছেন তিনি। পাশাপাশি নজর কেড়েছেন অনামী দানিশ মালেওয়ার। দ্বিশতরানের পথে তিনি।

Advertisement

চোট সারিয়ে ফেরার পর ছন্দ ফিরে পাননি শামি। তাই তাঁকে ইংল্যান্ড সফরের দলে নেওয়া হয়নি। সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সিরিজ় রয়েছে ভারতের। সেখানে সুযোগ রয়েছে শামির ফেরার। একই অবস্থা মুকেশের। তিনিও লাল বলের ক্রিকেটে জায়গা হারিয়েছেন। তবে নজর কাড়তে হলে ভাল খেলতে হত তাঁদের। সেটাই পারলেন না দুই পেসার।

উত্তরাঞ্চলের বিরুদ্ধে পূর্বাঞ্চলের হয়ে খেলছেন শামি ও মুকেশ। দুই বোলার নতুন বল পেয়েছিলেন। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেননি। শামি প্রথম দিন ১৭ ওভার বল করেছেন। ৫৫ রান দিয়েছেন। নিয়েছেন মাত্র ১ উইকেট। তা-ও নীচের সারির সাহিল লোথরাকে আউট করেছেন তিনি। নতুন বলে টপ অর্ডারকে সমস্যায় ফেলতে ব্যর্থ শামি।

Advertisement

মুকেশের অবস্থা আরও খারাপ। ১১.৫ ওভার বল করে ৩৯ রান দিয়েছেন তিনি। একটিও উইকেট পাননি। শুধু তাই নয়, প্রথম দিনই চোটে মাঠ ছেড়েছেন মুকেশ। দিনের শেষবেলায় তাঁর হ্যামস্ট্রিংয়ে লাগে। ফলে দ্বাদশ ওভার শেষ করতে পারেননি তিনি।

নতুন বলের বোলারেরা উইকেট না পাওয়ায় সমস্যা হয়েছে পূর্বাঞ্চলের। উত্তরাঞ্চল প্রথম দিন ৬ উইকেটে ৩০৮ রান করেছে। অর্ধশতরান করেছেন আয়ুষ বাদোনি। রান পেয়েছেন যশ ঢুল, নিশান্ত সান্ধু ও কানাইয়া ওয়াধাওয়ান।

দলীপের অপর ম্যাচে দাপট দেখিয়েছে মধ্যাঞ্চল। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করেছে তারা। প্রথম দিনের শেষে মধ্যাঞ্চলের রান ২ উইকেটে ৪৩২। ওপেনার আরিয়ান জুয়াল ৬০ রান করে চোট পেয়ে উঠে যান। তার পরে জুটি হয় পাটীদার ও দানিশের। মধ্যাঞ্চলের অধিনায়ক পাটীদার করেন ৯৬ বলে ১২৫ রান। ২১ চার ও তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। লাল বলের ক্রিকেটেও টি-টোয়েন্টির ছন্দে ব্যাট করেন তিনি।

কয়েক মাস আগে আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে অধিনায়ক হিসাবে চ্যাম্পিয়ন করেছেন পাটীদার। ভারতের টেস্ট দলে তাঁর অভিষেক হলেও বেশি ম্যাচ খেলেননি। আবার ফিরতে চান তিনি। মিডল অর্ডারে জায়গা রয়েছে। চার নম্বরে পাটীদারের এই ইনিংস তাঁকে দৌড়ে রাখবে।

মধ্যাঞ্চলের আর এক ব্যাটার দানিশ ১৯৮ রান করে খেলছেন। ২১৯ বল খেলে ৩৫ চার ও একটি ছক্কা মেরে এই রান করেছেন তিনি। রঞ্জিতে বিদর্ভের হয়ে খেলেন দানিশ। মধ্যাঞ্চলের হয়ে তিন নম্বরে নেমে নজর কেড়েছেন তিনি। দ্বিতীয় দিন সকালে ২ রান করলেই দ্বিশতরান হবে তাঁর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement