Ravichandran Ashwin

৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ নেই বাড়িতে, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের ধাক্কায় লন্ডভন্ড চেন্নাইয়ে অশ্বিনের পাড়া

মিগজাউমের দাপটে লন্ডভন্ড পরিস্থিতি চেন্নাইয়ের। সাধারণ মানুষ প্রকৃতির দাপটে কার্যত অসহায়। ভেঙে পড়েছে নানা পরিকাঠামো। কঠিন সময়ে চেন্নাইয়েই আছেন অশ্বিন, জ্বালাদের মতো ক্রীড়াবিদেরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৪২
Share:

রবিচন্দ্রন অশ্বিন। —ফাইল চিত্র।

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের কারণে চেন্নাইয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত। লন্ডভন্ড চেন্নাইয়ে কার্যত অসহায় সাধারণ মানুষ। নৌকা চলছে জলমগ্ন রাস্তায়। শহরের বহু জায়গা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। সাধারণ মানুষের মতো কঠিন সময় কাটাতে হচ্ছে ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় জ্বালা গুট্টাদেরও।

Advertisement

বৃষ্টি থামলেও চেন্নাইয়ের বহু রাস্তায় জমে রয়েছে জল। চেন্নাইয়ের জনজীবন কবে স্বাভাবিক হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। অসংখ্য গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। পানীয় জল, খাবার এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সাধারণ মানুষের কাছে ঠিকমতো পৌঁছচ্ছে না। প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য সর্বত্র পৌঁছতে পারছেন না প্রশাসনের প্রতিনিধিরাও। বেহাল চেন্নাইয়ের সেই ছবি সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেছেন অশ্বিন। অভিজ্ঞ অফস্পিনার লিখেছেন, ‘‘আমার এলাকায় ৩০ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ নেই। মনে হচ্ছে, অনেক জায়গার পরিস্থিতি এমনই। আমাদের সামনে কী বিকল্প রয়েছে, জানা নেই।’’ সঙ্গে দিয়েছেন কঠিন পরিস্থিতিতে থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনার ইমোজি।

সমাজমাধ্যমে পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন জ্বালাও। ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় বানভাসী চেন্নাইয়ের একাধিক ছবি পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘আপৎকালীন পরিষেবা যাঁরা দিচ্ছেন তাঁদের অনেক কৃতজ্ঞতা। শ্রদ্ধা বেড়ে গেল দমকল কর্মী এবং উদ্ধারকারীদের প্রতি। দিন-রাত এক করে পরিশ্রম করে চলেছেন তাঁরা। বন্যা কবলিত এলাকাগুলি থেকে সমানে অসহায় মানুষদের উদ্ধার করেছে চলেছেন তাঁরা।’’

Advertisement

সমাজমাধ্যমে চেন্নাইয়ের দুর্দশার ছবি তুলে ধরেছেন গ্র্যান্ডমাস্টার শ্রীনাথ নারায়ণও। তিনি লিখেছেন, ‘‘প্রত্যেক জেলাশাসককে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি অবশ্য তুলনায় ভাল এবং নিরাপদ জায়গায় রয়েছি। চেন্নাই পুলিশ এবং সরকারের বিভিন্ন দফতরের কর্মীদের অসংখ্য ধন্যবাদ। এই পরিস্থিতির মধ্যে অবিশ্বাস্য পরিশ্রম করে চলেছেন তাঁরা।’’

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আছড়ে পড়ে। তিন ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায় ঝড়। আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়াটিই চলে প্রায় তিন ঘণ্টা। মৌসম ভবনের তথ্য বলছে, মিগজাউমের প্রভাবে চেন্নাইয়ে চলতি বছরে স্বাভাবিকের চেয়ে বৃষ্টির পরিমাণ ২৯ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন