দুর্ঘটনার পর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরের ছবি। ছবি: পিটিআই।
বুধবার দুঃখপ্রকাশ করেই কাজ সেরেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বৃহস্পতিবার আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করল তারা। বেঙ্গালুরুতে আরসিবির ট্রফি জয়ের উল্লাসের সময় পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৩৩ জন। সেই ঘটনার ৬ ঘণ্টা পর প্রথম মুখ খুলেছিল আরসিবি। সেই বিবৃতির সাড়ে ১৭ ঘণ্টা পর আবার বিবৃতি দিল বিরাট কোহলিদের দল।
বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে বেঙ্গালুরু জানিয়েছে, “বেঙ্গালুরুতে গতকাল যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে তাতে আরসিবি পরিবার মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে।” কোহলিদের দল আরও জানিয়েছে, “আরসিবি কেয়ার নামে একটা ফান্ড তৈরি করা হয়েছে। তার মাধ্যমে দুর্ঘটনায় আহতদের সাহায্য করা হবে। সমর্থকেরা আমাদের দলের প্রাণ। এই সময়ে আমরা সকলে একসঙ্গে রয়েছি।”
বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টে নাগাদ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর পরেও স্টেডিয়ামের ভিতরে উল্লাস চলে। নাচ-গান হয়। ট্রফি নিয়ে উৎসব করেন কোহলিরা। যদিও তার ৬ ঘণ্টা পর আরসিবি কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে জানান, পদপিষ্টের খবর তাঁরা প্রথমে জানতেন না।
আরসিবির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বিকালে দলের ফেরা উপলক্ষে বিশাল জনসমাগম হয়েছিল বেঙ্গালুরু জুড়ে। আমরা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানতে পেরেছি, সেই জমায়েতে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় আমরা গভীর ভাবে মর্মাহত। সকলের নিরাপত্তা এবং সুস্থতা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরসিবি কর্তৃপক্ষ মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি আমরা।’’ আরসিবি কর্তৃপক্ষ বিবৃতিতে আরও লিখেছেন, ‘‘ঘটনার কথা জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দ্রুত কর্মসূচি পরিবর্তন করেছি। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ এবং পরামর্শ মতো পদক্ষেপ করেছি। আমাদের সব সমর্থককে নিরাপদে থাকতে অনুরোধ করছি।’’
সেই বিবৃতি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়ে কোহলি লিখেছেন, ‘‘ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। অত্যন্ত হৃদয়বিদারক।’’
চিন্নাস্বামীতে অনুষ্ঠানের আয়োজক কর্নাটকের ক্রিকেট সংস্থা মৃতদের পরিবার প্রতি ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। কেএসসিএ কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘‘প্রিয়জনকে হারানো পরিবারগুলির জন্য আরসিবি এবং কেএসসিএ যৌথ ভাবে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করছে। আমাদের আশা, শোকের সময় এই পদক্ষেপ তাঁদের জন্য কিছুটা সহায়ক হবে। তাঁরা হয়তো কিছুটা সান্ত্বনা পাবেন। এই ক্ষতিপূরণ কখনও মানুষের জীবনের মূল্য নির্ধারণ করতে পারে না। তেমন উদ্দেশ্যও নেই আমাদের। এই কঠিন সময়ে আমরা শুধু পরিবারগুলির পাশে থাকতে চাইছি। আশা করি আমাদের অবস্থান সকলে বুঝতে পারবেন।’’ মৃতদের পরিবারগুলিকে ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।