শ্রেয়স আয়ারের সঙ্গে বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
ক্রিকেটজীবনের ১৮টা বছর বেঙ্গালুরুকে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। এ বার সময় এসেছে তাঁকে কিছু ফেরত দেওয়ার। আইপিএলের ফাইনালের আগে বললেন অধিনায়ক রজত পাটীদার। কোহলির জন্যই যে তাঁরা ট্রফি জিততে চান এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। এ দিকে, পঞ্জাবের অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারের দাবি, দলকে ফাইনালে তুলে মাত্র চার ঘণ্টা ঘুমিয়েছেন তিনি।
তিন বার আইপিএল ফাইনাল খেলেছে বেঙ্গালুরু। কোনও বারই জিততে পারেনি। ২০০৯-এ ডেকান চার্জার্স, ২০১১-এর চেন্নাই এবং ২০১৬-য় হায়দরাবাদের কাছে হেরেছে তারা। এই প্রথম এমন দলের বিরুদ্ধে তারা নামছে, যারা দক্ষিণ ভারতের নয়।
এ দিন পাটীদার বলেন, “কোহলির জন্যই ট্রফি চাই। এত বছর ধরে বেঙ্গালুরুকে অনেক কিছু দিয়েছে ও। আমরা ট্রফি জেতার জন্য নিজেদের সেরাটা দেব। ফাইনাল খেলব এটা ভেবে মঙ্গলবার নামব না। নিজেদের সেরা ক্রিকেটটাই উপহার দেব।”
অহমদাবাদে খেলা হলেও কোহলির জন্যই যে তাঁরা প্রচুর সমর্থন পাবেন এটা মেনে নিয়েছেন পাটীদার। ইতিমধ্যেই অনেকে বেঙ্গালুরু থেকে খেলা দেখতে গিয়েছেন। পাটীদারের কথায়, “যেখানেই যাই না কেন সেটাই আমাদের ঘরের মাঠ। যে ভাবে সমর্থকেরা আমাদের পাশে রয়েছেন তার প্রশংসা কোনও ভাবেই করা যাবে না।”
ফাইনালে টিম ডেভিডের খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। শেষ দুই ম্যাচে তিনি খেলেননি। পাটীদার বললেন, “এখনও পর্যন্ত ডেভিডকে নিয়ে কিছু জানি না। চিকিৎসকেরা রয়েছেন। আশা করি আজ (সোমবার) বিকেলের মধ্যেই জানতে পারব ও খেলতে পারবে কি না।”
রবিবার পঞ্জাবের খেলা শেষ হতে হতে মধ্যরাত পেরিয়ে যায়। ঘুম থেকে উঠেই শ্রেয়সকে চলে আসতে হয়েছে সাংবাদিক বৈঠকে। হাসতে হাসতে বললেন, “আমি সে ভাবে ঘুমোতেই পারিনি। মেরেকেটে চার ঘণ্টা ঘুমিয়ে এখানে চলে এসেছি। ম্যাচের পর হোটেলে ফিরেছিলাম। ঘুম থেকে উঠেই জানতে পারলাম সাংবাদিক বৈঠকে আসতে হবে।”
রবিবারের ইনিংসকে নিজের সেরা ইনিংস বলে অভিহিত করেছেন শ্রেয়স। তাঁর কথায়, “চাপের মুখে দলকে জেতানোই আমার কাছে সবচেয়ে সেরা অনুভূতি। তবে এই ইনিংসটাকে নিজের সেরা ইনিংস বলতে দ্বিধা নেই। আমি পরিস্থিতি বিচার করে খেলি। খুব বেশি ভাবি না। রান তাড়া করার সময় আগে রান রেট দেখি। তার পর উইকেট এবং বোলার বিচার করে শট খেলি।”