(বাঁ দিকে) ধ্রুব জুরেল এবং রবীন্দ্র জাডেজার (ডান দিকে) ২০৬ রানের জুটিতে ভাল জায়গায় ভারত। ছবি: বিসিসিআই।
দ্বিতীয় দিনের শেষেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে চালকের আসনে ভারত। রোস্টন চেজদের প্রথম ইনিংসে ১৬২ রানের জবাবে শুভমন গিলেরা করেছেন ৫ উইকেটে ৪৪৮ রান। অহমদাবাদের ২২ গজে ভারত এগিয়ে রয়েছে ২৮৬ রানে। সারা দিন রাজত্ব করলেন ভারতীয় ব্যাটারেরা।
বোলারদের পর ব্যাটারদের শাসন। লোকেশ রাহুল, ধ্রুব জুরেল, রবীন্দ্র জাডেজার শতরানে কোণঠাসা সফরকারীরা। নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে চতুর্থ ইনিংসে নিশ্চিত ভাবে ব্যাট করতে চাইবেন না শুভমনেরা। শুক্রবার সকালে শুভমন (৫০) অযথা ঝুঁকি নিয়ে আউট না হলে, ভারতীয় দল আরও ভাল জায়গায় থাকতে পারত। তাতে অবশ্য বিশেষ ক্ষতি হয়নি। পর পর তিন ব্যাটার শতরানে সফরকারীদের ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছেন শুভমনেরা।
৩২১১ দিন পর দেশের মাটিতে টেস্ট শতরান করলেন রাহুল। ২০১৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৯৯ রান ইনিংস খেলার পর আর দেশের মাটিতে শতরান করতে পারেননি। আট বছর নয় মাস পর সেই আক্ষেপ মিটিয়ে নিলেন রাহুল। তবে ১০০ রানের বেশি করতে পারলেন না। সব মিলিয়ে ১১তম টেস্ট শতরান করলেন ভারতীয় দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। জীবনের প্রথম টেস্ট শতরান করলেন জুরেল। তাঁর ১২৫ রানের ইনিংসে পরিণতির ছাপ স্পষ্ট। ঋষভ পন্থের অভাব একটুও বুঝতে দিলেন না ২৪ বছরের ক্রিকেটার। ষষ্ঠ টেস্ট শতরান করলেন জাডেজাও। পঞ্চম উইকেটে জুরেলের সঙ্গে তাঁর ২০৬ রানের জুটিই চালকের আসনে বসিয়ে দিয়েছে ভারতকে। দিনের শেষ জাডেজা অপরাজিত রয়েছেন ১০৪ রানে। ২২ গজে তাঁর সঙ্গী ওয়াশিংটন সুন্দর (৯)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বোলিং নিয়ে বলার মতো কিছু নেই। ভারতীয়েরা ব্যাট হাতে প্রায় ছেলেখেলা করলেন। অনায়াসে মাঠের সব দিকে রান নিলেন। প্রয়োজনমতো রান তোলার গতি বাড়ালেন বা কমালেন। বড় শট খেললেন নিশ্চিন্তে। কখনই মনে হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বোলারেরা উইকেট নিতে পারেন। তাঁদের অপেক্ষা করে থাকতে হল ভারতীয়দের ভুলের জন্য। সে ভাবেই সারা দিনে তিন উইকেট পেলেন তাঁরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের সফলতম বোলার চেজ ৯০ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। তবে উইকেট না পেয়েও দীর্ঘ ক্ষণ নতুন বল না নেওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের রণকৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
তৃতীয় দিন ভারতীয় দলের লক্ষ্য থাকবে লিড যতটা সম্ভব বাড়িয়ে নেওয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজ় প্রথম ইনিংসে ১৬২ রানে অলআউট হয়ে গেলেও তাদের হালকা ভাবে নেওয়ার ভুল করতে চায় না ভারতীয় শিবির। দ্বিতীয় দিন থেকেই পিচে বল ঘুরতে শুরু করেছে। এই পিচে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা যথেষ্ট কঠিন হতে পারে। তাই ঝুঁকি নিতে চাইবেন না শুভমনেরা।