ঋষভ পন্থ। ছবি: রয়টার্স।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ধ্রুব জুরেলকে উইকেটকিপিং করতে নামতে দেখে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। ঋষভ পন্থ টেস্ট থেকেই ছিটকে গিয়েছেন কি না তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। তবে ইংল্যান্ড অলআউট হওয়ার পর কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন সমর্থকেরা। ব্যাট হাতে অনুশীলন করতে দেখা গিয়েছিল পন্থকে। শুভমন আউট হওয়ার পর ব্যাট করতে নামেন ভারতের উইকেটকিপার।
শুক্রবার ইংল্যান্ড ৩৮৭ রানে অলআউট হওয়ার পরেই পন্থ স্টেডিয়ামের মধ্যে থাকা নেটে অনুশীলন করতে চলে যান। হাতে ব্যাট, প্যাড, গ্লাভস দেখে চিৎকার করে ওঠেন আশেপাশে থাকা ভারতীয় সমর্থকেরা। পন্থ মৃদু হেসে নেটের দিকে চলে যান।
সেখানে ব্যাটিং কোচ সীতাংশু কোটাক, দলের চিকিৎসক এবং থ্রোডাউন বিশেষজ্ঞ ছিলেন। নেটে ১৫ মিনিটেরও বেশি থ্রোডাউন খেলেন পন্থ। তাঁকে অস্বস্তিতে দেখাচ্ছিল ঠিকই। কিন্তু ব্যাট করার জন্য প্রত্যয়ী ছিলেন। নিজেকে অনুপ্রাণিত করতে নিজের সঙ্গেই কথা বলছিলেন পন্থ। নিজেকেই নিজে উজ্জীবিত করছিলেন।
তবে অস্বস্তি এড়ানো যায়নি। বার বার নিজের বাঁ হাত দেখতে থাকেন তিনি। যন্ত্রণা যে করছে তা বোঝা যাচ্ছিল মুখ দেখেই। তবে অনুশীলন থেকে ফেরার সময় হাসিমুখেই ছিলেন। সমর্থকদের সঙ্গে দেদার নিজস্বী তোলেন। ভারতের ইনিংস চলার সময় হাসিমুখে সাজঘরে দেখা যায় তাঁকে।
এ দিন সকালে সমাজমাধ্যমে বিসিসিআই জানায়, ‘‘সহ-অধিনায়ক পন্থের বাঁ হাতের তর্জনীতে চোট লেগেছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে। ভারতীয় দলের মেডিক্যাল টিমের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন পন্থ। তাঁর পরিবর্তে ধ্রুব জুরেল উইকেট রক্ষা করছেন।’’
বৃহস্পতিবার জসপ্রীত বুমরাহের একটি ইনসুইং বল লেগ স্টাম্পের কিছুটা বাইরে পড়ে। পন্থ বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে বল ধরার চেষ্টা করেন। বল ঠিকমতো আটকাতে পারেননি পন্থ। বল বাঁ হাতের তর্জনী ছুঁয়ে চলে যায়। তাতেই চোট পান পন্থ। তাঁর মুখে সঙ্গে সঙ্গে ফুটে ওঠে যন্ত্রণার ছাপ। তাঁর প্রাথমিক শুশ্রূষার জন্য কয়েক মিনিট খেলা বন্ধ রাখেন আম্পায়ারেরা। তার পর উইকেটের পিছনে গিয়ে দাঁড়ালেও গ্লাভস পরতে সমস্যা হচ্ছিল পন্থের। বুমরাহের ওই ওভার শেষ হওয়ার পর মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন পন্থ। তাঁর পরিবর্তে নামেন জুরেল। বৃহস্পতিবার বাকি সময় আর মাঠে নামতে পারেননি পন্থ।