সঞ্জু স্যামসন। —ফাইল চিত্র।
রাজস্থান রয়্যালসের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে কি সত্যিই সম্পর্কে ফাটল ধরেছে সঞ্জু স্যামসনের? দু’জনের কেউ সেই জল্পনায় সিলমোহর না দিলেও তা থামছে না। শনিবার লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে খেলছে রাজস্থান রয়্যালস। ঘরের মাঠে সেই ম্যাচে খেলছেন না সঞ্জু। তাঁর বদলে রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়কত্ব করবেন রিয়ান পরাগ। সঞ্জুর না খেলার নেপথ্যে কি চোট? না অন্য কোনও কারণ রয়েছে?
আগের ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ব্যাট করার সময় পাঁজরে চোট পেয়েছিলেন সঞ্জু। উঠে যান তিনি। আর নামেননি। খেলা সুপার ওভারে গড়ালেও নামতে দেখা যায়নি তাঁকে। সঞ্জু পরে জানিয়েছিলেন, দিল্লির বিরুদ্ধে নামার ঝুঁকি নেননি। চোট খতিয়ে দেখে ঠিক করবেন, পরের ম্যাচে খেলবেন কি না। সঞ্জুর সেই চোট তিন দিন পরেও কি ঠিক হয়নি?
রাজস্থানের হারের ধাক্কার মাঝেই একটি ভিডিয়ো ঘিরে দলে ফাটলের জল্পনা শুরু হয়। দিল্লি ম্যাচের পর দ্রাবিড়, সাইরাজ বাহুতুলে এবং কোচিং স্টাফের বাকি সদস্য ও ক্রিকেটারেরা একসঙ্গে ‘টিম হাডল’ করছিলেন। গোল হয়ে দাঁড়িয়ে এ রকম আলোচনা প্রায়ই করে দলগুলি। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, সঞ্জু পাশে থাকলেও সেই টিম হাডলে যোগ দেননি। দ্রাবিড়ের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায়নি তাঁকে। সঞ্জু হতাশ এবং বিধ্বস্ত ছিলেন বলে অনেকে মনে করেছেন। তবে অনেকের ধারণা, দলের মধ্যে ফাটল ধরেছে। সঞ্জু দলীয় রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চাননি বলেই যোগ দেননি।
বেশ কিছু জল্পনা রটেছে। শোনা যাচ্ছে, রাজস্থান গুয়াহাটিতে খেলতে যাক তা চাননি সঞ্জু। কিন্তু দল সে কথা শোনেনি। তা ছাড়া, পরাগকে আগামী দু’বছরের মধ্যে পাকাপাকি ভাবে অধিনায়ক বানানোর পরিকল্পনা করছে রাজস্থান। যে ভাবে সেই প্রচেষ্টা চলছে তাতে অবাক সঞ্জু। দলে নাকি দ্রাবিড়কেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সঞ্জু পাত্তাই পাচ্ছেন না। সেটাও ভারতীয় ক্রিকেটারের পছন্দ নয়। এ ছাড়া কিছু চাপ এবং দলীয় রাজনীতি তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে রাজস্থানে নাকি এতটাই খারাপ অবস্থা যে সঞ্জুর সঙ্গে যশস্বী জয়সওয়ালও পরের বছর দল ছাড়তে চান।
যদিও তার মাঝেই জল্পনা ওড়াতে চেয়েছেন দ্রাবিড়। লখনউ ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “আমি জানি না কোথা থেকে এ সব খবর রটছে। এটুকু বলতে পারি, আমাদের ভাবনাচিন্তা একই। দলে যারা সিদ্ধান্ত নেয়, তার অবিচ্ছেদ্য অংশ সঞ্জু। ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই ভাল। সব ধরনের আলোচনা এবং সিদ্ধান্তে অংশ নেয় সঞ্জু। যা রটানো হচ্ছে সেটা ভিত্তিহীন। এ সব নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই।”
দ্রাবিড় যা-ই বলুন, জল্পনা থামছে না। কারণ, সঞ্জু আগের ম্যাচে ব্যাট না করলেও খেলা শেষে মাঠে নেমেছিলেন। সঞ্চালকের সঙ্গে কথাও বলেন। তাঁকে দেখে বোঝা যায়নি, খুব গুরুতর চোট লেগেছে। তা হলে তিন দিন পরেও কেন সুস্থ হতে পারলেন না তিনি? তবে কি দলের অন্দরে সব কিছু ভাল নেই? সত্যিই কোচ দ্রাবিড়ের সঙ্গে বিবাদের কারণেই খেলছেন না দলের অধিনায়ক?