রোহিত শর্মা। — ফাইল চিত্র।
ইংল্যান্ড সফরের মাঝপথেই টেস্ট থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন রোহিত শর্মা। তাঁর সেই আবদার মানেনি ভারতীয় বোর্ড। তাই সফরের আগেই টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত। এমনই দাবি করেছে ইংল্যান্ডের এক সংবাদমাধ্যম। এর ফলে আরও স্পষ্ট হল রোহিতের সঙ্গে বোর্ডের দ্বন্দ্ব।
গত ৭ মে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে আচমকা টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছিলেন রোহিত। তাঁর অবসরে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। পাঁচ দিন পরে অবসর নেন বিরাট কোহলিও। উল্লেখ্য, ২০১৪-য় মহেন্দ্র সিংহ ধোনি অস্ট্রেলিয়া সফরে দ্বিতীয় টেস্টের পর অবসর নিয়েছিলেন। রোহিতেরও তাই ইচ্ছা ছিল। তবে আগে থেকে বলে-কয়ে অবসর নিতে চাওয়ায় রাজি হয়নি বোর্ড।
‘স্কাই স্পোর্টস’-এর একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, “রোহিত ইংল্যান্ড সিরিজ়ে খেলতে চেয়েছিলেন এবং মাঝপথে অবসর নিতে চেয়েছিলেন। ২০১৪-য় ঠিক যে কাজ করেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তবে ভারতীয় নির্বাচকেরা ইংল্যান্ড সিরিজ়ে ধারাবাহিকতা চেয়েছিলেন। তাঁরা চেয়েছিলেন রোহিত দলের সঙ্গে যান। তবে অধিনায়ক হিসাবে নয়। তাতে রাজি না হয়ে রোহিত অবসর নেন।”
ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ-ও দাবি করা হয়েছে, সম্ভাব্য অধিনায়ক হিসাবে শুভমন গিল এবং ঋষভ পন্থের সঙ্গে কথা বলেছেন নির্বাচকেরা। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। জসপ্রীত বুমরাহ আগেই অধিনায়কত্বের দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
বুমরাহকে অধিনায়ক হিসাবে চাইছেন না ভারতের দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাওস্কর এবং রবি শাস্ত্রী। গাওস্কর বলেছিলেন, “কয়েক বছর লাগবে আগামী অধিনায়ক বেছে নেওয়ার জন্য। রোহিত (শর্মা), বিরাট (কোহলি), (মহেন্দ্র সিংহ) ধোনির মতো অধিনায়ক পেতে সময় লাগে। ওরা সকলেই নেতৃত্বের এক একটা নতুন দিক খুলে দিয়েছিল।”
গাওস্কর আরও বলেছিলেন, “শুভমন (গিল), শ্রেয়স (আয়ার) এবং (ঋষভ) পন্থ আগামী দিনে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে থাকবে। ওদের মধ্যে শুভমন একটু এগিয়ে রয়েছে। মাঠে প্রতিটা বিষয়ের সঙ্গে ও খুব জড়িয়ে থাকে। কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন থাকলে আম্পায়ারের সঙ্গে গিয়ে কথা বলে। পন্থ উইকেটের পিছনে থাকে। ও ভাল। শ্রেয়সও ভাল। আগামী দিনে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে এই তিন জন থাকবেই।”
শাস্ত্রীর কথায়, “অস্ট্রেলিয়া সফর দেখার পর অবশ্যই বুমরাহকে অধিনায়ক করা উচিত। কিন্তু আমি চাই না ওকে অধিনায়ক হিসাবে দেখতে। বোলার বুমরাহকে আমরা হারিয়ে ফেলব তা হলে। প্রতি ম্যাচে খেলার পর দেখতে হবে ও কেমন থাকে।”
শাস্ত্রী এটাও বলেছিলেন, “বড় চোট সারিয়ে ফিরেছে বুমরাহ। তাই সাবধানে থাকতে হবে। আইপিএলে খেলছে ও। কিন্তু এখানে শুধু চার ওভার বল করতে হয়। টেস্টে ১০-১৫ ওভার বল করতে হবে। সেই চাপ নেওয়ার পর আবার নেতৃত্ব দেওয়ার চাপ ওর উপর না দেওয়াই ভাল।”