সানিয়া চন্দোক (বাঁ দিকে) ও অর্জুন তেন্ডুলকর। ছবি: সমাজমাধ্যম।
চলতি মাসে বাগ্দান হয়েছে সচিন তেন্ডুলকরের পুত্র অর্জুন ও সানিয়া চন্দোকের। বাগ্দানের ছবি প্রকাশ্যে এলেও তার পরে আর দু’জনকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছিল না। অবশেষে একসঙ্গে দেখা মিলল তাঁদের। মায়ের জন্মদিন পালন করেন সচিন। সেখানেই ছিলেন অর্জুন ও সানিয়া।
শুক্রবার মায়ের জন্মদিন পালনের ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন সচিন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কেক কাটছেন সচিনের মা রজনী। ক্যাপশনে সচিন লেখেন, “আমি তোমার গর্ভে জন্মেছি। তোমার জন্যই আমি পৃথিবীর আলো দেখেছি। তুমিই আমার আশীর্বাদ। তাই এগিয়ে যেতে পেরেছি। তোমার আত্মবিশ্বাস আমাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। মা, শুভ জন্মদিন।”
বিশেষ এই অনুষ্ঠানে পরিবার ও আত্মীয়েরা উপস্থিত ছিলেন। ছবিতে সচিনের স্ত্রী অঞ্জলি, কন্যা সারা ও পুত্র অর্জুনকে দেখা যায়। সেখানে ছিলেন সানিয়াও। বাগ্দানের পর এই প্রথম বার এক ফ্রেমে দেখা গেল দু’জনকে।
অর্জুনের সঙ্গে বাগ্দানের পর সচিনের বাড়িতে আগেও দেখা গিয়েছে সানিয়াকে। সারার স্টুডিয়োর উদ্বোধনের আগে বাড়িতে পুজো করেছিলেন সচিন। সেখানে ছিলেন সানিয়া। পরে সারার স্টুডিয়োর ফিতে কাটার সময়ও উপস্থিত ছিলেন তিনি। সারার সঙ্গে অনেক ছবিতে রয়েছেন সানিয়া। ভাইয়ের হবু বউয়ের সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক তাঁর। কিন্তু সেই সব অনুষ্ঠানে অর্জুনকে দেখা যাচ্ছিল না। অবশেষে দেখা গেল তাঁকে।
পুত্রের বাগ্দানের পর অবশ্য কোনও পোস্ট করেননি সচিন। তাই জল্পনা তৈরি হয়েছিল। সেই জল্পনা মিটিয়েছেন সচিনই। গত সোমবার সমাজমাধ্যমে ‘আস্ক মি এনিথিং’ (যা খুশি জিজ্ঞাসা করো) পর্বের আয়োজন করেছিলেন সচিন। সেখানেই এক ভক্ত অর্জুন-সানিয়ার বাগ্দানের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন করেন। সচিন উত্তর দেন, “হ্যাঁ, ওর বাগ্দান হয়েছে। ওর ভবিষ্যৎ জীবনের কথা ভেবে আমরা সকলেই খুব উত্তেজিত।” এই একটি উত্তরেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে পুত্রের বাগ্দান হয়ে গিয়েছে।
অর্জুনের হবু বউ সানিয়া ব্যবসায়ী রবি ঘাইয়ের নাতনি। ঘাই পরিবারের খাবার এবং হোটেলের ব্যবসা রয়েছে। এ ছাড়া দু’টি নামী আইসক্রিম সংস্থার মালিক তারা। সানিয়া অবশ্য পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি পড়াশোনা করেছেন ক্যাথিড্রাল অ্যান্ড জন ক্যানন স্কুলে। এর পর তিনি লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সে বিজ়নেস ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। ২০২০-তে পাশ করার পর দেশে ফিরে এসে নিজের ব্যবসা শুরু করেন। সানিয়া পশুপ্রেমী। মুম্বইয়ের মানুষদের মধ্যে পোষ্যের জনপ্রিয়তা দেখে ‘মিস্টার পজ় পেট স্পা অ্যান্ড স্টোর’ খোলেন। এখানে পোষ্যদের যত্ন নেওয়া এবং খেয়াল রাখার কাজ করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত বিশেষ লাভের মুখ দেখেননি।