শেফালি বর্মা। ছবি: পিটিআই।
প্রতিকা রাওয়ালের চোট হঠাৎই বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ করে দিয়েছে শেফালি বর্মাকে। ২১ বছরের ব্যাটার প্রায় এক বছর পর ভারতের এক দিনের দলে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ পেলে নিজেকে উজাড় করে দিতে চান শেফালি।
ধারাবাহিকতার অভাব এক দিনের দল থেকে ছিটকে দিয়েছিল শেফালিকে। তাঁর জায়গা নিয়ে নিয়েছিলেন প্রতিকা। বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের সময় শেফালিকে রিজার্ভ তালিকাতেও রাখেননি নির্বাচকেরা। অথচ সেমিফাইনালের আগে হরমনপ্রীত কৌরদের পরিকল্পনায় ঢুকে পড়েছেন সেই শেফালিই। ভারতীয় শিবিরে যোগ দেওয়ার পর শেফালি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) ওয়েব সাইটে। তিনি বলেছেন, ‘‘সরাসরি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলা বেশ চ্যালেঞ্জের। তবে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলার সুযোগই অনুপ্রেরণার জন্য যথেষ্ট। প্রচুর সমর্থকের সামনে খেলা। তাঁরা আমাদের নাম ধরে চিৎকার করবেন। বেশ রোমাঞ্চকর। গ্যালারি ভর্তি স্টেডিয়ামে খেলতে নামলে এমনিতেই উৎসাহের অভাব হয় না। যে খেলোয়াড়ই এমন সুযোগের জন্য ছটফট করে। এমন ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ অনুপ্রাণিত হয়ে খেলা যায়। সে জন্য বাড়তি কিছু করতে চাই না। স্বাভাবিক ব্যাটিং করার চেষ্টা করব।’’
এ ভাবে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ এসে যাবে, ভেবেছিলেন? শেফালি বলেছেন, ‘‘হয়তো ঈশ্বরই এখানে পাঠিয়েছেন আমাকে। নিজের সেরা খেলাটা খেলার চেষ্টা করব। সুযোগ পেলে দলের প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাট করব। দলের জন্য যেটা সবচেয়ে ভাল হবে, সেটাই করার চেষ্টা করব। তবে উৎসাহিত হয়ে অতিরিক্ত করতে না যাওয়াই ভাল। নিজেকে বার বার বোঝাচ্ছি, সুযোগ পেলে মাথা ঠান্ডা রেখে ব্যাট করতে হবে। নিজের দক্ষতার উপর আমার আস্থা রয়েছে। আশা করছি, ভাল কিছুই করতে পারব।’’ দলের সঙ্গে অনুশীলন করলেন। কেমন অনুভূতি হচ্ছে? ওপেনিং ব্যাটার বলেছেন, ‘‘অনুশীলনে ভালই ব্যাট করেছি। উপভোগ করেছি। আশা করছি, ম্যাচে আরও ভাল ব্যাট করতে পারব।’’
ওপেন করতে পারেন এমন একাধিক ব্যাটার রয়েছেন ভারতীয় মহিলা দলে। ঊমা ছেত্রী, হরলিন দেওল, আমনজ্যোৎ কৌরেরা আছেন হরমনপ্রীতদের সাজঘরে। তবে দেশের হয়ে ২৯টি এক দিনের ম্যাচ এবং ৯০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়ে ‘ব্রাত্য’ শেফালি।