Shikhar Dhawan

এডস পরীক্ষা! বাড়িতে লুকিয়ে কী করেছিলেন? আইপিএল শুরুর পাঁচ দিন আগে জানালেন ধাওয়ান

শখ মিটিয়েছিলেন মনের আনন্দে। সেই শখই পরে মনে তৈরি করেছিল আতঙ্ক। বিপদের কথা বোঝার পর এইচআইভি পরীক্ষা করাতে গিয়েছিলেন ধাওয়ান। সব কিছু জানার পর বাবার কাছে বেদম মারও খেয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৩ ১৯:৪৬
Share:

আইপিএলের আগে জীবনের গোপন কথা জানালেন ধাওয়ান। ছবি: টুইটার।

এইচআইভি পরীক্ষা দিতে হয়েছিল স্কুল ফাইনাল পরীক্ষার আগেই! আইপিএল শুরুর পাঁচ দিন আগে জীবনের গোপন তথ্য ফাঁস করলেন পঞ্জাব কিংস অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। বাড়িতে লুকিয়ে কী করেছিলেন তিনি? বাঁহাতি ব্যাটার জানিয়েছেন তা-ও।

Advertisement

বাবা-মাকে না জানিয়ে মনের ইচ্ছা পূরণ করেছিলেন ধাওয়ান। মনের আনন্দে শখ মেটালেও পরে এডসের আতঙ্কে ভুগতে হয়েছিল কিশোর বয়সেই। একটি সাক্ষাৎকারে সেই আতঙ্কের কথা জানিয়েছেন ধাওয়ান। অভিজ্ঞ ব্যাটার বলেছেন, ‘‘তখন আমার বয়স ১৪ বা ১৫। বাড়িতে না বলে মানালি গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে পিঠে একটা ট্যাটু করাই। সেটা বাবা-মার কাছে প্রায় তিন-চার মাস লুকিয়ে রেখেছিলাম। পরে বাবা জানার পর খুব মেরেছেল। ট্যাটুটা করে ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তখন অত বুঝতাম না। যে সুচ দিয়ে আমাকে ট্যাটু করে দেওয়া হয়েছিল, সেটা আরও কত জনের শরীরে ব্যবহার করা হয়েছিল জানতাম না। বিষয়টা বোঝার পর খুব ভয় লেগেছিল। যদি এডস হয়! সে জন্য এইচআইভি পরীক্ষা করিয়েছিলাম। পরীক্ষার ফল কিন্তু নেগেটিভ হয়েছিল।’’

ধাওয়ান পরে বেশ কয়েকটি ট্যাটু করিয়েছেন নিজের শরীরে। সাক্ষাৎকারে প্রতিটি ট্যাটুর মানেও বলেছেন তিনি। ধাওয়ান জানিয়েছেন, ‘‘প্রথম ট্যাটুটা করাই পিঠে। সেটা একটা কাঁকড়া বিছের ছবি। তখন ওটাই পছন্দ হয়েছিল। পরে ওটার ওপর আরও নকশা করিয়েছি। দ্বিতীয় ট্যাটু করাই হাতে। সেটা শিবের ছবি। আরও একটা ট্যাটু আছে। সেটা অর্জুনের।’’

Advertisement

ভারতীয় দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন ধাওয়ান। আপাতত তাঁর লক্ষ্য আইপিএলে নিজের সেরাটা দেওয়া। পঞ্জাবকে প্রথম বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করতে চান অধিনায়ক হিসাবে। মোহালির প্রস্তুতি শিবিরে অনুশীলনে নজর রাখছেন সতীর্থদের উপরেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন