Lord's Cricket Ground

বিক্রি হয়ে যাচ্ছে লর্ডসের মাঠ! ৫ হাজার টাকা দিয়ে কেনা যাবে মাঠের টুকরো, কেন এই সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের?

২০০২ সালের পর লর্ডসের মাঠে বড় ধরনের কোনও সংস্কার হয়নি। আউটফিল্ড নিয়ে কয়েক বছর ধরে নানা অভিযোগ উঠছে। তাই নতুন করে মাঠ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমসিসি কর্তারা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২৫ ১৩:৩০
Share:

লর্ডসের মাঠ। ছবি: এক্স।

বিক্রি হয়ে যাচ্ছে লর্ডসের মাঠ। পকেটে ৫ হাজার টাকা থাকলেই যে কেউ কিনতে পারবেন এই ক্রিকেট মাঠের অংশ। ইংল্যান্ডের মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) লর্ডসের মালিক। স্টেডিয়ামের পরিকাঠামো উন্নয়নের টাকা তোলার জন্য লর্ডসের মাঠ কেটে কেটে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

ক্লাবের সদস্যেরা বটেই, মাঠের অংশ কিনতে পারবেন সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরাও। এমসিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মাঠ কেটে টুকরো টুকরো করে বিক্রি করা হবে। প্রতিটি টুকরোর মাপ হবে ১.২ মিটার x ০.৬ মিটার। দাম রাখা হয়েছে ৫০ পাউন্ড। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫০০০ টাকা। ক্লাবের ২৫ হাজার সদস্য কিনতে পারবেন লর্ডসের মাঠের টুকরো। চাইলে সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরাও সংগ্রহ করতে পারবেন মাঠের অংশ। মাঠের অংশ বিক্রি করে যে অর্থ ক্লাব তহবিলে আসবে, তার ১০ শতাংশ এমসিসি ফাউন্ডেশনে দান করা হবে। বাকি ৯০ শতাংশ টাকা খরচ করা হবে স্টেডিয়ামের পরিকাঠানো উন্নয়নে। ক্রেতাদের মধ্যে যাঁরা আগে আবেদন করবেন, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

এমসিসি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘‘এমসিসি ফাউন্ডেশনের জন্য তহবিল সংগ্রহ এবং ক্রিকেট মাঠের উন্নয়নে সাহায্যের জন্য আমরা সমর্থকদের আবেদন জানাচ্ছি। আপনারা লর্ডসের ঐতিহ্যবাহী মাঠের একটি অংশের মালিকানা পাবেন। যে মাঠে ক্রিকেটের নানা রোমাঞ্চকর ঘটনা ঘটেছে।’’

Advertisement

লর্ডসের পরিকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা করেছেন এমসিসি কর্তারা। ঐতিহ্য বজায় রেখে আধুনিকতার ছোঁয়া দিতে চান তাঁরা। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে কাজ। স্টেডিয়ামের পাশাপাশি নতুন করে তৈরি করা হবে মাঠ, পিচ সব কিছু। লর্ডসের মাঠ কর্মীদের সঙ্গে এই কাজে হাত লাগাবেন স্বেচ্ছাসেবকেরাও। মাঠের উপরের ১৫ মিলিমিটার মাটি তুলে ফেলা হবে। নতুন করে ঘাস বসানো হবে। ১৫ মিলিমিটার পুরু ওই অংশই কেকের মতো কেটে কেটে বিক্রি করে দেওয়া হবে।

মাঠের আউটফিল্ড নিয়ে কয়েক বছর ধরে নানা অভিযোগ উঠছে। সেই সমস্যার সমাধান করতে চান এমসিসি কর্তারা। কারণ ২০০২ সালের পর মাঠের বড় ধরনের কোনও সংস্কারের কাজ হয়নি। পুরো কাজের তদারকি করবেন লর্ডসের প্রধান মাঠকর্মী কার্ল ম্যাকডারমট। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘আমার পূর্বসূরি মিক হান্ট মান বজায় রাখতে যে ভাবে নতুন করে মাঠ তৈরি করতেন, তাতে প্রায় তিন বছর খেলা বন্ধ রাখতে হত। এখন অনেক বেশি ম্যাচ হয়। অত দিন খেলা বন্ধ রাখার বিলাসিতা দেখানো সম্ভব নয়। মহিলাদের ক্রিকেটের ম্যাচ বেড়েছে। দ্য হান্ড্রেড হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করব, যত দ্রুত সম্ভব মাঠকে আবার ক্রিকেটের উপযুক্ত করে তোলার।’’

এমসিসির ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট অপারেশন রব লিঞ্চ জানিয়েছেন, সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে ভবিষ্যতে লর্ডসে ড্রপ-ইন পিচ (অন্য জায়গায় তৈরি করে এনে বসানো হয়) ব্যবহার করা হবে। কত দিনের মধ্যে মাঠ আবার খেলার উপযুক্ত হবে, তা নিয়ে এখনই মন্তব্য করতে চাননি এমসিসি কর্তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement