পিএসএল। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনা। মঙ্গলবার গভীর রাতে সেই আক্রমণের পর থেকেই চিন্তায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। পাকিস্তানে এখন পিএসএল চলছে। যে প্রতিযোগিতা আদৌ আগামী দিনে চালানো যাবে কি না তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পাকিস্তান সুপার লিগে রয়েছে ছ’টি দল। সেই সব দলে বিদেশি ক্রিকেটারেরাও রয়েছেন। ১৮ মে সেই প্রতিযোগিতার ফাইনাল। এখনও লিগ পর্বের ম্যাচ চলছে। পাক বোর্ডের এক কর্তা বলেন, “বৈঠকে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হবে। বুধবার ড্রোন আক্রমণ হয়েছে। বিশেষ করে পঞ্জাব প্রদেশে।”
পিএসএলের সিইও সলমন নাসির রাওয়ালপিন্ডিতে বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। বোর্ড যদিও নজর রাখছে পরিস্থিতির উপর।
পিএসএলের দুই দল পেশোয়ার জ়ালমি এবং করাচি কিংসের ম্যাচ ছিল বৃহস্পতিবার। রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে রাত ৮টা থেকে তা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকালে আচমকা স্টেডিয়ামে ড্রোন হামলা হয় বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, ড্রোন হামলার কারণে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের একাংশ ভেঙে পড়েছে। ফলে সেখানে আপাতত আর ম্যাচের আয়োজন করা যাবে না। পিসিবি জানিয়েছে, পিএসএলের যে ক’টি ম্যাচ বাকি আছে, তা করাচি স্টেডিয়ামে হবে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ভারতের ড্রোন হামলাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়াম।
পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি শহরে বৃহস্পতিবার ভারত থেকে ড্রোন হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই পাকিস্তানি সেনার মুখপাত্র আহমেদ শরিফ চৌধরির বক্তব্য প্রকাশ করেছে। তিনি জানিয়েছেন, লাহৌর, গুজরানওয়ালা, বাহওয়ালপুর, রাওয়ালপিন্ডির মতো শহরে ভারতের ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। এ বার উত্তেজনার আঁচ লাগল ক্রিকেটেও।
এর মধ্যে পাকিস্তানে থাকা আর নিরাপদ নয়, এ কথা জানিয়ে সে দেশ থেকে চলে যেতে চাইলেন দুই ইংরেজ ক্রিকেটার। দলের কাছে অনুরোধ করেছেন তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য। পিএসএলে সাত ক্রিকেটার খেলছেন— স্যাম বিলিংস, জেমস ভিন্স, টম কারেন, ডেভিড উইলি, ক্রিস জর্ডান, টম কোহলার-কাডমোর এবং লুক উড।