(বাঁ দিক থেকে) কবীর, হারুন এবং শিবঘাতুল্লা। ছবি: এক্স।
পাকিস্তানের বিমান হানায় শনিবার মৃত্যু হয়েছে আফগানিস্তানের তিন ক্রিকেটারের। একটি ম্যাচ খেলে কবীর আঘা, হারুন এবং শিবঘাতুল্লা এক বন্ধুর বাড়িতে নৈশভোজের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিলেন। রাতের খাবার খাওয়ার আগেই তাঁদের মৃত্যু হয়।
শনিবার পাকতিকা প্রদেশের রাজধানী শরানার কাছে একটি ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলেন কবীরেরা। স্থানীয় বাসিন্দা এক ক্রিকেটার বাড়িতে সতীর্থদের নৈশভোজের নিমন্ত্রণ করেছিলেন। তাঁর বাড়িতে যাওয়ার পথেই পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হয় তাঁদের। ম্যাচ খেলে ক্লান্ত হয়ে পড়ায় কয়েক জন ক্রিকেটার সতীর্থের বাড়িতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বাকিরা খানিক ক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে কিছুটা দেরিতে রওনা দেন মাঠ থেকে। ফলে তাঁরা বেঁচে গিয়েছেন। কবীর, হারুন এবং শিবঘাতুল্লা সেই সতীর্থের বাড়িতে পৌঁছোতে পারেননি। ফলে তাঁদের রাতের খাবার খাওয়া হয়নি।
পাকতিকা প্রদেশের এক সাংবাদিক বলেছেন, ‘‘একটা ম্যাচ খেলে সকলে ওরা স্থানীয় এক সতীর্থের বাড়িতে নিয়ন্ত্রণ খেতে যাচ্ছিলেন। কবীরদের পরে যারা মাঠ থেকে বেরিয়ে ছিলেন, তাঁরা ঘটনার কথা জানার পর আর সে দিকে এগোননি। আবার মাঠে ফিরে যান তাঁরা। ঘটনাটি সেই বন্ধুর বাড়ির কাছেই ঘটেছে। পর পর তিনটি পাক ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়েছে। গৃহকর্তাও আহত হয়েছেন।’’
তিন তরুণ ক্রিকেটারের মৃত্যু পাকিস্তান-আফগানিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জটিল করে তুলেছে। প্রতিবাদে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজ় থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে আফগানিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। ক্রিকেটারদের উপর পাক হামলার নিন্দা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। প্রতিবাদে এক্স অ্যাকাউন্টের বায়ো থেকে পাকিস্তান সুপার লিগের দল লাহোর কলন্দর্সের নাম মুছে দিয়েছেন আফগানিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক রশিদ খান।