মারমুখী বিরাট কোহলি। ছবি: পিটিআই।
আবার জ্বলে উঠল বেঙ্গালুরুর ওপেনিং জুটি। তবে এ বার বিরাট কোহলির সঙ্গে ছিলেন জেকব বেথেল। দু’জনেই অর্ধশতরান করলেন। শেষ দিকে এসে চালিয়ে খেলে অর্ধশতরান করলেন রোমারিয়ো শেফার্ডও। এই তিন জনের দাপটে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে আগে ব্যাট করে ২১৩/৫ তুলল বেঙ্গালুরু।
চোটের জন্য এই ম্যাচেও খেলতে পারেননি ফিল সল্ট। ফলে বিরাট কোহলির সঙ্গে শুরু করেন জেকব বেথেল। তিনিও যে সল্টের থেকে কম যান না, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন ইংরেজ তরুণ। শুরুই করেন প্রথম ওভারে খলিল আহমেদকে টানা তিনটি চার মেরে। তৃতীয় ওভারে খলিলকে দু’টি ছয় মারেন। কোহলি মারেন একটি।
চতুর্থ ওভারে অংশুল কম্বোজের বলে তুলে মেরেছিলেন বেথেল। ক্যাচ ধরতে গিয়ে সংঘর্ষ হয় রবীন্দ্র জাডেজা এবং মাথিশা পাথিরানার। ক্যাচ ফস্কান দু’জনেই। সেই সুযোগ কাজে লাগান বেথেল। পরের ওভার নুর আহমেদকে দু’টি চার এবং একটি ছয় মারেন।
বেঙ্গালুরুর দুই ওপেনারকে থামানোর রাস্তাই খুঁজে পাচ্ছিল না চেন্নাই। গত ১১ ম্যাচে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার পাওয়ার প্লে-তে বিপক্ষের উইকেট ফেলতে ব্যর্থ হয় চেন্নাই। জাডেজাকে চার মেরে অর্ধশতরান করেন বেথেল। দশম ওভারে আউট হন তিনি। পাথিরানা তুলে মারতে গিয়ে ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের হাতে ক্যাচ দেন।
বেথেল ফিরতে চালিয়ে খেলতে শুরু করেন কোহলি। তিনিও পঞ্চাশ করেন জাডেজাকে চার মেরে। একটা সময় মনে হচ্ছিল কোহলির শতরান হয়ে যাবে। ঠিক সেই সময় স্যাম কারেনের বলে পয়েন্ট এলাকার উপর দিয়ে মারতে গিয়ে খলিলের হাতে ক্যাচ দেন কোহলি।
দুই ওপেনারকে হারিয়ে বেঙ্গালুরুর রানের গতি কিছুটা কমে যায়। দেবদত্ত পাড়িক্কল এবং রজত পাটীদার কিছুটা সময় নেন। পাড়িক্কলকেও (১৭) ফিরিয়ে দেন পাথিরানা। এর পর জিতেশ শর্মা (৭) এবং পাটীদার ফিরে যেতে চাপে পড়ে বেঙ্গালুরু। সেই চাপ কাটিয়ে দেন রোমারিয়ো শেফার্ড। খলিলের এক ওভারে চারটি ছয় এবং একটি চার মেরে ৩৩ রান নেন।