দিগ্বেশ রাঠির ‘নোটবুক সেলিব্রেশন’। ছবি: পিটিআই।
আইপিএলে একাধিক বার ‘নোটবুক সেলিব্রেশন’ করে শাস্তি পেয়েছেন লখনউয়ের স্পিনার দিগ্বেশ রাঠি। প্রথম দু’বার জরিমানা করার পর তাঁকে এক ম্যাচ নির্বাসিত করা হয়। তরুণ স্পিনারের পাশে দাঁড়ালেন বীরেন্দ্র সহবাগ। তাঁর যুক্তি, অতীতে বিরাট কোহলি, মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা অপরাধ করেও শাস্তি পাননি। তা হলে দিগ্বেশকে শাস্তি দেওয়া হল কেন?
এক ওয়েবসাইটে সহবাগ বলেছেন, “আমি মনে করি বাড়াবাড়ি শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ছেলেটা আইপিএলে প্রথম বছর খেলছে। যে বার ধোনি মাঠে ঢুকে পড়েছিল তখন তো ওকে নির্বাসিত করা হয়নি। আম্পায়ারের সঙ্গে অনেক বার কড়া ভাষায় যখন বিরাট কোহলি কথা বলেছে, তখনও ওকে নির্বাসিত করা হয়নি। তাই রাঠিকেও ছাড় দেওয়া যেতে পারত। ও তরুণ ক্রিকেটার। সবে বড় মঞ্চে খেলতে নেমেছে। ওকে অন্তত রেহাই দেওয়া উচিত ছিল।”
২০১৯ সালে একটি ম্যাচে আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন ধোনি। ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা করা হয়েছিল। সে বারও সহবাগ ধোনিকে নির্বাসিত করার দাবি তুলেছিলেন। কোহলিকে প্রায়ই দেখা গিয়েছে আম্পায়ারদের সঙ্গে উত্তপ্ত স্বরে বাক্যবিনিময় করতে।
উল্লেখ্য, হায়দরাবাদ ম্যাচে অসভ্যতা করে নির্বাসিত হয়েছিলেন দিগ্বেশ। হায়দরাবাদের ইনিংস চলাকালীন চালিয়ে খেলছিলেন অভিষেক। মাত্র ১৮ বলে অর্ধশতরান করেছিলেন। অষ্টম ওভারে লখনউ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ বল দিয়েছিলেন দিগ্বেশের হাতে। তৃতীয় বলে অভিষেককে আউট করেছিলেন দিগ্বেশ।
বিতর্ক শুরু হয়েছিল এর পরেই। অভিষেকের দিকে হাত নাড়িয়ে তাঁকে দ্রুত মাঠ ছেড়ে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত করেন দিগ্বেশ। এর পর ‘নোটবুক সেলিব্রেশন’ও করেন। এতেই নাটক থামেনি। অভিষেক ফেরার সময় তাঁকে আবার কিছু বলেন দিগ্বেশ। হায়দরাবাদের ব্যাটার এর পর মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেননি। তিনি দিগ্বেশের দিকে এগিয়ে আসেন। হেলমেট খুলে কিছু বলেন লখনউয়ের স্পিনারকে। পাল্টা কথা বলেন দিগ্বেশও। মনে করা হচ্ছে, লখনউয়ের স্পিনার অভিষেকের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমি তো তোমাকে কিছুই বলিনি। তোমার সমস্যা হচ্ছে কেন’? অভিষেক শুনতে চাননি। তিনি প্রতিবাদ করতে থাকেন। শেষে আম্পায়ারেরা এসে মধ্যস্থতা করেন। পরের দিনই নির্বাসিত করা হয় দিগ্বেশকে।