আউট হয়ে ফিরছেন জুরেল। পিছনে দক্ষিণ আফ্রিকার উল্লাস। ছবি: পিটিআই।
কলকাতার পর গুয়াহাটি টেস্টেও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা দু’দিন ব্যাট করলেও ভারত তিনটি সেশনও পুরো ব্যাট করতে পারেনি। ব্যাটারেরা আউট হয়েছেন খারাপ শট খেলে। দিনের খেলা শেষে ওয়াশিংটন সুন্দর জানালেন, সোমবার যদি চার-পাঁচটি উইকেট পড়ত, তা হলে মঙ্গলবার অনেক পরিকল্পনা করে ব্যাট করতে পারতেন তাঁরা।
ভারতের অলরাউন্ডারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, প্রথম ইনিংসে কী ভাবে ব্যাট করতে চেয়েছিলেন। ওয়াশিংটন বলেন, “পাঁচ দিনের ম্যাচে স্কোর বা রান রেটের কথা মাথায় রেখে কেউ খেলে না। বিশেষ করে সামনে যখন ভাল মানের বোলারেরা থাকে। আমরা অন্যান্য ইনিংসের মতোই এই ইনিংসে খেলতে চেয়েছিলাম। হয়তো কাল ব্যাটিংয়ের পরিকল্পনা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতাম। আজ যদি চার-পাঁচটা উইকেট হারাতাম, তা হলের কালকের ব্যাটিংয়ে ভাবনাচিন্তা করা যেত। হয়তো যতটা বেশি সময় সম্ভব ব্যাট করতে চাইতাম। আজ আমাদের সে রকম কোনও পরিকল্পনা ছিল না।”
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের স্কোরকার্ড।
পিচ এমন ছিল না যে, এক দিনেই ইনিংস শেষ হয়ে যাবে। ভারতের পতনের নেপথ্যে ব্যাটারদের খারাপ শটও রয়েছে। বিশেষ করে ঋষভ পন্থ এবং ধ্রুব জুরেল আগ্রাসী শট খেলতে গিয়ে উইকেট দিয়েছেন। তবে ওয়াশিংটন সতীর্থদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বলেছেন, “অন্য কোনও দিনে ওজের দুটো শটই গ্যালারিতে গিয়ে পড়ত। তখন আমরা সবাই প্রশংসা করে হাততালি দিতাম। ক্রিকেট খেলাটাই এ রকম। কখনও সখনও ওদের পরিকল্পনার পাশে দাঁড়াতে হয় এবং দক্ষতার উপরে আস্থা রাখতে হয়। অতীতে নিজেদের ভাল খেলার অনেক প্রমাণ রেখেছে ওরা। আজ কোনও ভাবে ঠিক শটটা খেলতে পারেনি।”
পিচের দোষ দিতে চাননি ওয়াশিংটন। মেনে নিয়েছেন, এই পিচে ব্যাট করা যেত। ওয়াশিংটনের কথায়, “ব্যাটিংয়ের অযোগ্য পিচ নয়। খুবই ভাল পিচ। ভারতের কোনও মাঠে হয়তো এমন পিচে ব্যাট করার সুযোগ আর পাব না। টিকে থাকলে রান আসবেই। বেশি ক্ষণ রান আটকে রাখা যাবে না।”
কলকাতা টেস্টে ওয়াশিংটন ব্যাট করেছিলেন তিন নম্বরে। গুয়াহাটিতে ব্যাট করতে হয়েছে আটে। ব্যাটিং অর্ডারে নিয়ে খুব বেশি ভাবতে নারাজ তিনি। বলেছেন, “দল আমাকে যেখানেই ব্যাট করানোর সিদ্ধান্ত নিক, আমি খুশি হব। ব্যাপারটা বেশ উত্তেজক। এটা দলগত খেলা। পরিস্থিতি, প্রতিপক্ষ বিচার করে ম্যাচের আগে অনেক কৌশল তৈরি করা হয়। ফুটবলে দেখুন, ভাল খেলোয়াড়েরাও হয়তো ২০-৩০ মিনিট খেলার সুযোগ পায়। এটাই খেলাটার মজা।”
গুয়াহাটি টেস্ট নিয়ে এখনও আশা রাখছেন ওয়াশিংটন। তাঁর সংক্ষিপ্ত উত্তর, “জীবনে ইতিবাচক তো থাকতেই হয়। আপনি জানেন না কখন কী হতে পারে।”