হ্যারি ব্রুক। ছবি: রয়টার্স।
এজবাস্টন টেস্টে দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারত এগিয়ে রয়েছে ২৪৪ রানে। শুভমন গিলদের হাতে রয়েছে ৯ উইকেট। তবু উদ্বিগ্ন নন ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুক। প্রথম ইনিংসে ১৫৮ রানের ইনিংস খেলা ব্যাটার যে কোনও লক্ষ্য তাড়া করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।
হেডিংলেতে প্রথম টেস্টে পঞ্চম দিন ৩৭১ রান তাড়া করে ভারতকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। এজবাস্টনেও ৮৪ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ৩০৩ রানের জুটি তৈরি হয়েছে। তাই লক্ষ্য নিয়ে চিন্তিত নন বেন স্টোকসেরা। তৃতীয় দিনের খেলার শেষে তা জানিয়েও দিয়েছেন ব্রুক। সাংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘‘আমার তো মনে হচ্ছে এই ম্যাচ জেতার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে আমাদের। আমার বিশ্বাস, শনিবার ভারতের গোটা দুয়েক উইকেট দ্রুত ফেলে দিতে পারলেই খেলা ঘুরে যাবে। ভারত চাপে পড়ে যাবে। ওদের ইনিংস ভেঙে পড়তে পারে। তার পর আমাদের সামনে যে লক্ষ্যটা দাঁড়াবে, আমরা সেটা তাড়া করে ম্যাচ জিতব। গোটা বিশ্ব জানে আমরা রান তাড়া করে ম্যাচ জিততে ভালবাসি। তা সে যত বড়ই লক্ষ্য হোক। জেতার লক্ষ্য নিয়েই ব্যাট করব। ওরা কেমন ব্যাট করবে, সব কিছুই তার উপর নির্ভর করছে।’’
জেমি স্মিথের সঙ্গে চাপের মুখে ৩০৩ রানের জুটি তৈরি করতে পেরে খুশি ব্রুক। আইসিসির টেস্ট ব্যাটারদের ক্রমতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রুক বলেছেন, ‘‘স্মিথের সঙ্গে পিচে লম্বা সময় থাকতে পেরে দারুণ লেগেছে। স্মিথ কী ব্যাটিংটাই না করল! ওর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। অনেক দিন খেলতে পারবে ইংল্যান্ডের হয়ে। আশা করি, আমরা দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। এটা আসলে স্মিথের জন্যই সম্ভব হয়েছে। ও পরিস্থিতিটাই আমাদের অনুকূলে নিয়ে চলে এসেছিল। সত্যিই অসাধারণ।’’ নিজের ১৫৮ রানের কথা না বলে সতীর্থের অপরাজিত ১৮৪ রানের ইনিংসের কথাই বার বার বলেছেন ব্রুক।
ইংল্যান্ডের সাদা বলের অধিনায়কের মতে, তিনি আউট না হলে দিনের শেষে আরও ভাল জায়গায় থাকতে পারত ইংল্যান্ড। মহম্মদ সিরাজ এবং আকাশদীপের বোলিংয়ের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘সিরাজ এবং আকাশ বেশ ভাল বল করল। প্রায় সব বল স্টাম্পে রাখছিল। সে জন্যই উইকেটগুলো পেল।’’
তৃতীয় দিনের শেষে যশস্বী জয়সওয়াল আউট হয়ে যাওয়ায় খুশি ব্রুক। তিনি বলেছেন, ‘‘যশস্বী আউট হয়েছে। এটা আমাদের জন্য স্বস্তির। নিঃসন্দেহে এখন ভারতই চালকের আসনে রয়েছে। আমাদের চেষ্টা করতে হবে ওদের পাল্টা চাপে ফেলার। দ্রুত কিছু উইকেট নিতেই হবে আমাদের।’’