India vs West Indies 2025

দিল্লি টেস্টের পিচ কেমন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচেও কি ইনিংসে জিততে পারবে ভারত?

ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে অহমদাবাদে প্রথম টেস্ট শেষ হয়ে গিয়েছিল আড়াই দিনেই। ১০ অক্টোবর থেকে দিল্লিতে শুরু দ্বিতীয় টেস্ট। দু’দিন আগে সেই টেস্টের পিচ প্রকাশ্যে এসেছে। কেমন হয়েছে পিচ?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৫ ১০:৩৮
Share:

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম। ছবি: পিটিআই।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে অহমদাবাদে প্রথম টেস্ট শেষ হয়ে গিয়েছিল আড়াই দিনেই। ১০ অক্টোবর থেকে দিল্লিতে শুরু দ্বিতীয় টেস্ট। দু’দিন আগে সেই টেস্টের পিচ প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, অহমদাবাদের উল্টো পিচ বানানো হয়েছে দিল্লিতে। এই পিচে সাহায্য পাবেন ব্যাটাররা।

Advertisement

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচ। সেখানকার পিচে অল্প ঘাস রাখা হয়েছে। তবে বেশির ভাগ জায়গাই ফাঁকা। পাশাপাশি কালো মাটির পিচে খেলা হবে, যেখানে সুবিধা পেতে পারেন ব্যাটারেরা। পরের দিকে পিচ শুকিয়ে গেলে স্পিনারেরা সাহায্য পাবেন।

অহমদাবাদে যে পিচে খেলা হয়েছিল তা সাম্প্রতিক কালের মধ্যে সবচেয়ে সবুজ। লাল মাটির পিচে চার মিলিমিটার ঘাস রাখা হয়েছিল। জসপ্রীত বুমরাহ এবং মহম্মদ সিরাজ— ভারতের দুই জোরে বোলারই সাহায্য পেয়েছিলেন পিচ থেকে। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯০ ওভারও খেলতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ়‌। ইনিংস এবং ১৪০ রানে হেরেছিল।

Advertisement

দিল্লির পিচ ব্যাটিং সহায়ক হতে চলেছে। আউটফিল্ড থাকবে দ্রুত। বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য একটু ছোট হতে পারে। ২০২৩-এ শেষ বার দিল্লিতে টেস্ট খেলা হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া সেই ম্যাচে আগে ব্যাট করেছিল। তিন দিনের মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছিল ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়া হেরেছিল ৬ উইকেটে।

অহমদাবাদের প্রথম টেস্টে জয়ের পর শুভমন গিল বলেছিলেন, ‘‘আমরা একটা নিখুঁত ম্যাচ খেলতে পেরেছি। আমাদের তিন জন শতরান করেছে। ফিল্ডিংও ভাল হয়েছে। আমার কোনও অভিযোগ নেই। পিচ ব্যাট করার জন্য ভালই ছিল। আমরা কয়েক জন ভাল শুরু করেও বড় রান করতে পারিনি। তবু আমি লোকেশ রাহুল, ধ্রুব জুরেল এবং রবীন্দ্র জাডেজার জন্য খুশি।’’

দলে তিন জন স্পিনার। দু’জন জোরে বোলার। এই ধরনের পিচ বোলিং পরিবর্তন করা কতটা কঠিন? শুভমন বলেছিলেন, ‘‘একসঙ্গে এত জন ভাল স্পিনার দলে থাকলে বোলিং পরিবর্তন করা কঠিন হয়। আবার যথেষ্ট বিকল্প থাকা খারাপ নয়। সবাইকে ঠিক মতো সুযোগ দেওয়াটা চ্যালেঞ্জ হয়ে যায়। তবু ভারতের মাটিতে খেলার মজাই আলাদা। আমাদের দলে এমন কয়েক জন রয়েছে, যারা নিজেরাই পার্থক্য তৈরি করে দিতে পারে। কেউ না কেউ ঠিক দায়িত্ব নিয়ে নেয়।’’

দল নিয়ে শুভমন আরও বলেছিলেন, ‘‘গত দেড়-দু’বছরে আমাদের দলের একতা অনেক বেড়েছে। ফলে আমরা কঠিন পরিস্থিতিও সহজে সামলাতে পারছি। অধিনায়ক হিসাবে এই বিষয়টা আলাদা তৃপ্তি দিচ্ছে। তবে দল হিসাবে আমরা এখনও শিখছি। যত দিন আমরা শেখার মানসিকতা ধরে রাখতে পারব, তত দিন ব্যাপারটা ইতিবাচক থাকবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement