লাহৌরকে চ্যাম্পিয়ন করার পর সতীর্থদের কাঁধে সিকন্দর রাজা। ছবি: এএফপি।
আগের দিন রাতে তিনি ছিলেন ইংল্যান্ডে। পরের দিন রাতে সেই তিনিই ট্রফি জিতলেন পাকিস্তানে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিন দেশে ঘুরলেন সিকন্দর রাজা। ক্রিকেট খেললেন দু’দেশে। এক দেশে হারলেও অন্য দেশে জিতলেন জ়িম্বাবোয়ের ক্রিকেটার।
শনিবার রাতে ইংল্যান্ডের ট্রেন্টব্রিজে জ়িম্বাবোয়ের হয়ে টেস্ট খেলছিলেন সিকন্দর। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬০ রান করেন তিনি। ইনিংস ও ৪৫ রানে ইংল্যান্ডের কাছে হারে জ়িম্বাবোয়ে। খেলা শেষে বাকি ক্রিকেটারেরা হোটেলে ফিরলেও সিকন্দরের লক্ষ্য ছিল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইংল্যান্ড ছাড়া। কারণ, পরের দিন পাকিস্তান সুপার লিগের ফাইনালে লাহৌর কলন্দর্সের হয়ে ম্যাচ ছিল তাঁর।
এর আগেও পাকিস্তানের দলকে ফাইনালে তোলার জন্য ইংল্যান্ড থেকে সে দেশে গিয়েছিলেন তিনি। শনিবার রাতে আবার সেই একই ঘটনা দেখা যায়। ইংল্যান্ড থেকে বিমানে দুবাইয়ে যান সিকন্দর। সেখান থেকে লাহৌরে যান তিনি। বিমানবন্দর থেকে সোজা মাঠে। সিকন্দর মাঠে পৌঁছনোর আগেই টস হয়ে যায় ফাইনালের। লাহৌরের অধিনায়ক শাহিন আফ্রিদি প্রথম একাদশে সিকন্দরের নাম জানান। তখনও মাঠে পৌঁছননি জ়িম্বাবোয়ের ক্রিকেটার।
খেলা শুরু হওয়ার ঠিক আগেই মাঠে ঢোকেন সিকন্দর। নেমে পড়েন মাঠে। তিনি না খেললে জিততে সমস্যা হত লাহৌরের। প্রথমে ব্যাট করে কোয়েত্তা গ্ল্যাডিয়েটর্স করে ২০১ রান। বল হাতে চার ওভারে ৪৩ রান দেন সিকন্দর। নেন এক উইকেট। পরে রান তাড়া করার সময় ছ’নম্বরে নামেন সিকন্দর। তখন লাহৌরের জিততে দরকার ২০ বলে ৫৭ রান। অসাধ্যসাধন করেন সিকন্দর ও কুশল পেরেরা। সাত বলে ২২ রানের ইনিংস খেলেন সিকন্দর। ম্যাচ জেতানো রানও আসে তাঁর ব্যাটেই।
খেলা শেষে নিজের ২৪ ঘণ্টার অভিজ্ঞতা জানান সিকন্দর। তিনি বলেন, “আমি জানতাম লাহৌরের আমাকে দরকার। দলের মালিক যে ভাবে শেষ এক-দেড় দিন ধরে আমাকে পাকিস্তানে আনার জন্য পরিশ্রম করেছেন, তা এক কথায় অসাধারণ। সব ব্যবস্থা ওঁরাই করেছিলেন।” তবে শেষ কয়েক দিনের যে ধকল তাঁর শরীরের উপর দিয়ে গিয়েছে সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সিকন্দর। তিনি বলেন, “২৫ ওভার বল করেছি। তার পরে ২০ ওভার ব্যাট করেছি। ক্লান্ত ছিলাম। কিন্তু খেলার ইচ্ছা ছিল। বার্মিংহ্যামে নৈশভোজ সেরেছি। দুবাইয়ে নেমে প্রাতরাশ করেছে। সেখান থেকে আবুধাবিতে গিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছি। তার পরে বিমানে পাকিস্তানে এসেছি। এটাই পেশাদার ক্রিকেটারের জীবন। শেষ পর্যন্ত এই জয় সব পরিশ্রম ভুলিয়ে দিয়েছে।”