কখনও খারাপ ফর্ম, কখনও দলের হারের জন্য নিজেকে দায়ী করা— বিভিন্ন কারণে কেরিয়ারের মাঝপথে বাইশ গজকে বিদায় জানিয়েছেন, এরকম ক্রিকেটারের সংখ্যা কম নয়। আবার অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফিরে এসে ফের দাপিয়ে খেলেছেন, এমন উদাহরণও রয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এরকম কয়েক জন ক্রিকেটারকে যাঁরা অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও দাপটের সঙ্গে ফিরে এসেছেন।
সচিন তেন্ডুলকর: ২০০৭ সালে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হেরে প্রথম রাউন্ডেই অভিযান শেষ হয় ভারতের। ওই দুই ম্যাচে সচিন করেন ০ এবং ৭। নিজের ও দলের পারফর্ম্যান্সে হতাশ সচিন তখনই খেলা ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। তাঁকে খেলা চালিয়ে যেতে অনুরোধ করেন দাদা অজিত তেন্ডুলকর। দাদার কথা মেনে কামব্যাক করেন সচিন। জেতেন বিশ্বকাপও।
যুবরাজ সিংহ: ক্যানসার নয়, টেস্ট ও ওয়ান ডে দল থেকে প্রায় একই সঙ্গে বাদ পড়ার পর অবসর নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন যুবরাজ। কিন্তু যুবরাজের বাবা-মা তাঁকে বোঝান খেলা না ছাড়তে। পরের বছর বিশ্বকাপের প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট হন যুবরাজ।
শিখর ধবন: ২০০৩ যুব বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরম্যান্সের পরও বহু দিন জাতীয় দলের ডাক পাননি শিখর। হতাশায় যখন খেলা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন, তখন তাঁকে বোঝান তাঁর ছোটবেলার কোচ। কোচের পরামর্শে ফের খেলায় মনোনিবেশ করেন। ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট দলে ডাক পেয়ে অভিষেককারী হিসাবে দ্রুততম শতরানের রেকর্ড করেন তিনি।
ইশান্ত শর্মা: বল হাতে খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য ২০১২-১৩ মরসুমে খেলা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবেন ইশান্ত। সে সময়ে জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এর পর মায়ের পরামর্শে কামব্যাক করে ২০১৫ বিশ্বকাপ দলে যায়গা করে নেন তিনি।
অমিত মিশ্র: তাঁকে অন্যায় ভাবে দলে নেওয়া হচ্ছে না এই অভিযোগে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন এই লেগস্পিনার। হরিয়ানার এক ক্রিকেট কর্তার পরামর্শ ও সাহায্যে ক্রিকেটে ফেরেন অমিত। বিশ্বকাপের দলে সুযোগও পেয়েছিলেন।