নজরে: রোনাল্ডোর উৎসব। ছবি রয়টার্স।
ইউরো ২০২০
পর্তুগাল ২ ফ্রান্স ২
জার্মানি ২ হাঙ্গেরি ২
অনবদ্য ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ইউরো ২০২০-তে বুধবার ফ্রান্সের বিরুদ্ধে পেনাল্টি থেকে জোড়া গোল করে আলি দাইয়ের নজির স্পর্শ করল। দেশের জার্সিতে দুই তারকারই গোল সংখ্যা এই মুহূর্তে ১০৯টি।
গ্রুপ পর্বেই এ রকম উত্তেজনা ও উৎকণ্ঠা আগে কখনও হয়েছে বলে মনে করতে পারছি না। শেষ পর্যন্ত আমার প্রিয় দুই দল, জার্মানি ও পর্তুগাল শেষ ষোলোয় যোগ্যতা অর্জন করল।
পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস প্রথম একাদশে বেশ কয়েকটা পরিবর্তন করেছেন। জোয়াও মউতিনহো ও রেনাতো স্যাঞ্চেসকে শুরু থেকে খেলালেন। যাতে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ে। চার মিনিটে স্যাঞ্চেসের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। রোনাল্ডোর হেড বাঁচান ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিস।শুরুর ধাক্কা সামলে ফ্রান্স ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। পল পোগবা, আঁতোয়া গ্রিজ়ম্যান ও কিলিয়ান এমবাপে আক্রমণে চাপ বাড়তে শুরু করে পর্তুগাল রক্ষণে। চাপ সামলে ৩১ মিনিটে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। গোলদাতা রোনাল্ডো। ফ্রি-কিক থেকে ফ্রান্সের পেনাল্টি বক্সে বল ভাসিয়ে দিয়েছিল মউতিনহো। হেড করতে লাফিয়েছিল দানিলো পেরেরা। বল বিপন্মুক্ত করতে গিয়ে হুগো আঘাত করে পর্তুগাল মিডফিল্ডারের মুখে। পেনাল্টি দেন রেফারি। আমার মতে সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল। প্রথমার্ধের সংযুক্ত সময়ে নাটকীয় ভাবে বদলে যায় ছবিটা। পেনাল্টি থেকেই সমতা ফেরায় ফ্রান্সের করিম বেঞ্জেমা। যদিও এই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার মনে সন্দেহ রয়েছে। পর্তুগালের পেনাল্টি বক্সের মধ্যে নেলসন সেমেদোর সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে পড়ে গিয়েছিল এমবাপে। দ্বিতীয়ার্ধ শুরু দু’মিনিটের মধ্যে ফের গোল করে ফ্রান্সকে ২-১ এগিয়ে দিয়ে বেঞ্জেমা বুঝিয়ে দিল কেন ওকে বিশ্বের অন্যতম সফল স্ট্রাইকার বলা হয়। ৬০ মিনিটে রোনাল্ডোই আবার পেনাল্টি থেকে ২-২ করে স্পর্শ করল দেশের জার্সিতে সর্বাধিক গোল করা আলি দাইয়ের নজির।
সতীর্থদের অভিনন্দন গোরেৎজ়াকে। ছবি রয়টার্স।
ফ্রান্স বনাম পর্তুগাল ম্যাচ ২-২ হওয়ার পরে মন দিয়েছিলাম জার্মানি ম্যাচে। ৬৬ মিনিটে কাই হাভার্ৎজ় সমতা ফেরানোয় কিছুটা দুশ্চিন্তা কমল। ভাবিনি দু’মিনিটের মধ্যেই আন্দ্রে শিফার গোল করে এগিয়ে দেবে হাঙ্গেরিকে। ম্যাচ শেষ হওয়ার ছ’মিনিট আগে লিয়ন গোরেৎজ়া ২-২ করে দেয়।