ব্র্যাভোর সেই অনবদ্য রান আউট কোহলিকে। যেখান থেকে ম্যাচ ঘুরল। সোমবার চেন্নাইয়ে। ছবি: বিসিসিআই।
ক্রিস গেইল খেলেননি। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিঙ্গসের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে দলকে জেতানোর জন্য তাই একা মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন বিরাট কোহলি (৪৮)। কিন্তু ডোয়েন ব্রাভোর থ্রোতে তিনি রান আউট হতেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জ শেষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরের। চেন্নাই সুপার কিঙ্গসের কাছে আরসিবি হারল ২৪ রানে।
১৭ রানে দু’উইকেট নিয়ে ধোনির টিমের হয়ে আঁটোসাঁটো বল করলেন ডোয়েন ব্রাভো। যদিও ৪৬ বলে ৫২ রান করে ম্যাচের সেরা সুরেশ রায়না। নিট ফল, ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে লিগ টেবলে শীর্ষ স্থানে চলে এল ধোনি-রায়নাদের সিএসকে।
চিদম্বরম স্টেডিয়ামে এ দিন চেন্নাইয়ের ওপেনার ডোয়েন স্মিথ (০) ও ম্যাকালাম বড় রান পাননি। মিচেল স্টার্করা যখন চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে দাপানো শুরু করছে তখনই খোলস ছে়ড়ে বেরোন রায়না। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন ধোনি (২৯) এবং দু’প্লেসিও (২৪)। নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ন’উইকেট হারিয়ে সিএসকে-র রান দাঁড়ায় ১৪৮।
ম্যাচের সেরা রায়না।
জবাবে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামনে পড়ে আরসিবি। ডে’ভিলিয়ার্স (২১) ও মনদীপ সিংহ (০) রান না পাওয়ায় এক সময় ৩৪ রানে তিন উইকেট হারিয়ে যখন ম্যাচের রাশ হাত থেকে বেরিয়ে যেতে চলেছে আরসিবির ঠিক তখনই স্বমূর্তি ধরেন বিরাট কোহলি। ৪৪ বলে দু’টি চার এবং একটি ছক্কা মেরে তিনি যখন ম্যাচের পরিস্থিতি আরসিবি-র অনুকূলে নিয়ে এসেছেন ঠিক তখনই ছন্দপতন। ব্রাভোর থ্রোয়ে রান আউট হয়ে বিরাট ফিরতেই পেন্ডুলামের মতো ম্যাচ ঢলে পড়ে চেন্নাইয়ের দিকেই। কারণ কোহলির পর দীনেশ কার্তিক (২০ বলে ২৩) ছাড়া আর কেউই ব্যাট হাতে সে ভাবে সফল নন। কার্তিক আউট হতেই ম্যাচ থেকেই হারিয়ে য়ায় আরসিবি। শেষের পাঁচ ওভারে ছ’উইকেট হারিয়ে আরসিবি স্কোরবোর্ডে যোগ করে মোটে ২৭ রান। ১৯.৪ ওভারে ১২৪ রানেই শেষ হয়ে যায় আরসিবি-র ইনিংস।
সিএসকে-র হয়ে ব্রাভো ছাড়াও বল হাতে সফল নেহরা (৩-১৯) ও ঈশ্বর পাণ্ডে (২-২৮)। এই ম্যাচ হেরে ন’ ম্যাচের পর আরসিবি-র পয়েন্ট দাঁড়াল নয়। লিগ টেবলে গেইল, কোহলিরা আপাতত চতুর্থ।