এ ভাবেই ফিরতে চেয়েছিলাম: ধোনি

প্রিয় নাইটদের উৎসাহ দিতে এ দিন চেন্নাইয়ে এসে পৌঁছন শাহরুখ খান। বলিউড বাদশার উপস্থিতিই বোধহয় তাতিয়ে দেয় তাঁর দলের অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:৪৪
Share:

‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনির দ্বিতীয় জয়।

এক দিকে যখন চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) ঘরে ফেরার আনন্দ, অন্য দিকে তখন কাবেরী জলবন্টন নিয়ে প্রতিবাদে সরব বহু মানুষ। এই প্রতিবাদে রজনীকান্ত, কমল হাসনের মতো কিংবদন্তিরাও সামিল। প্রিয় মানুষেরা প্রতিবাদে গলা মেলালেও ক্রিকেটকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেননি শহরের ক্রিকেটপ্রেমীরা।

Advertisement

প্রিয় নাইটদের উৎসাহ দিতে এ দিন চেন্নাইয়ে এসে পৌঁছন শাহরুখ খান। বলিউড বাদশার উপস্থিতিই বোধহয় তাতিয়ে দেয় তাঁর দলের অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলকে। ১১টা ছয় হাঁকিয়ে তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সকে বড় রানে পৌঁছে দেন ঠিকই। তবে তাঁর এই ঝোড়ো ইনিংস বিফলে যায় অম্বাতি রায়ডু, শেন ওয়াটসন, স্যাম বিলিংস ও শেষে রবীন্দ্র জাডেজার সাফল্যে।

শেষ বলে ছয় হাঁকিয়ে জাডেজা চেন্নাইকে জেতানোর পরে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি বলেন, ‘‘দু’বছর পরে নিজেদের মাঠে ফেরার অভিজ্ঞতাটা দুর্দান্ত। অসাধারণ একটা ম্যাচ হল। স্যাম দারুন ব্যাটিং করেছে। কেকেআর-ও ম্যাচটা জিততে পারত। ওরা জিতলেও সেটা ওদের প্রাপ্যই ছিল। এতগুলো ছয় মেরেছে ওরা। তাতেই তো ওরা এগিয়ে ছিল। কিন্তু আমাদেরও আবেগ চেপে রেখে লড়াই করে যেতে হয়েছে। দুই দলেরই বোলারদের আজ দিনটা খারাপ গিয়েছে।’’ শেষ দিকে ব্র্যাভোকে আগে না নামিয়ে জাডেজাকে ব্যাট করতে পাঠানো নিয়ে ধোনি বলেন, ‘‘কারও না কারও উপর ভরসা করতেই হয়। শেষ ওভারে তো দু’জন ব্যাট করে আর একজনই বোলিং করে। তার উপর ভরসা করতেই হয়। সেটাই করেছি।’’ অন্য দিকে, দ্বিতীয় ম্যাচেই হেরে নাইটদের অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক বলেন, ‘‘দু’বছর পরে ফিরছে সিএসকে। ওদের জন্য এ রকম সমর্থনই আশা করেছিলাম। দুর্দান্ত খেলেছেও ওরা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন হয়েই থাকে। পরের ম্যাচে আর একই ভুল করা চলবে না।’’

Advertisement

হতাশ: চিদম্বরম স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে শাহরুখ। ছবি: পিটিআই

সিএসকে বনাম কেকেআর ম্যাচ শুরুর আগে মঙ্গলবার এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামের বাইরে এক ঝাঁক প্রতিবাদকারীকে ম্যাচ বন্ধের দাবিতে স্লোগান দিতে শোনা যায়। তাদের দাবি, রাজ্যের কৃষকদের স্বার্থে আইপিএল ম্যাচ বয়কট করুক চেন্নাইবাসী। কিন্তু মঙ্গলবার স্টেডিয়ামের যেটুকু অংশের টিকিট বিক্রি হয়, তার পুরোটাই ভর্তি ছিল তিন বছর পরে সিএসকে-র ঘরে ফেরা দেখতে। মাঠের বাইরে এমন প্রতিবাদ মিছিলের আগাম খবর এ দিন ছিল পুলিশের কাছে। সে জন্য মাঠে ও মাঠের বাইরে হাজার পাঁচেক পুলিশ ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সও (র‌্যাফ) মোতায়েন করা ছিল। এই কঠোর বাধা পেরিয়ে প্রতিবাদকারীরা মাঠের কাছে যেতে পারেননি। তবে ম্যাচ চলাকালীন গ্যালারি থেকে হঠাৎ কয়েকজন দর্শক মাঠে জুতো ছুড়তে শুরু করে। যা গিয়ে পড়ে লং অনে ফিল্ডিং করা রবীন্দ্র জাডেজা ও বাউন্ডারির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা দ্বাদশ ব্যক্তি ফ্যাফ ডুপ্লেসি-র পাশে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন