এই পিচ নিয়ে বির্তক শুরু হয়েছে। ছবি: এএফপি।
এক বলও ঘোরেনি। কিন্তু, পুণে পিচে ফের ঘূর্ণি দেখা দিল। সৌজন্যে, পিচ কিউরেটর পাণ্ডুরঙ্গ সালগাঁওকর। ইন্ডিয়া টুডে-র একটি স্টিং অপারেশনে দেখা গেল, ‘জুয়াড়ি’দের মর্জিমাফিক করে গড়ে দেওয়ার প্রস্তাবে রাজি হলেন পাণ্ডুরঙ্গ। যদিও ওই ‘জুয়াড়ি’রা আসলে সাংবাদিক ছিলেন। কিন্তু, ঘটনার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই বুধবার ভারত-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ম্যাচের আগে পাণ্ডুরঙ্গকে সাসপেন্ড করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
ঠিক কী কাণ্ড ঘটিয়েছেন পাণ্ডুরঙ্গ?
স্টিং অপারেশনের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, দু’জন ক্রিকেটার বাউন্সি পিচ চান বলে জানাচ্ছেন ‘জুয়াড়ি’রা। সেই দাবি মতো পিচ বানানোর প্রস্তাব দেওয়া হয় পাণ্ডুরঙ্গকে। এবং সঙ্গে সঙ্গেই সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান তিনি। শুধু তা-ই নয়, বহিরাগতদের পিচ পরীক্ষার অনুমতি নেই স্বীকার করেও পিচের উপর হাঁটতে দেন ওই ‘জুয়াড়ি’দের। এর পর তাঁরা পিচের উপর হেঁটে তা বুট দিয়ে পরীক্ষা করেও দেখেন। গোটাটাই আইসিসি এবং বিসিসিআইয়ের নিয়মবিরুদ্ধ। এখানেও থেমে থাকেননি পাণ্ডুরঙ্গ। পিচে কত রান উঠবে সেটাও ভবিষ্যৎবাণী করেন তিনি। তাঁর মতে, এই উইকেটে ৩৩৭-৩৪০ রান সহজেই উঠবে। এবং ৩৩৭ রান তাড়া করাটা খুব একটা মুশকিলের হবে না। তাতে বাজি ধরার কথাও জানিয়ে দেন ওই ‘জুয়াড়ি’রা। সেই মতোই পিচ প্রস্তুতের কথা বলেন পাণ্ডুরঙ্গ।
পাণ্ডুরঙ্গের এই কীর্তিতে মুখ পুড়েছে বিসিসিআইয়ের দুর্নীতিদমন কমিটির। ঘটনার কথা জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে পাণ্ডুরঙ্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় বিসিসিআই। সাসপেন্ড করা ছাড়াও এমসিএ স্টেডিয়ামে তাঁর প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আপাতত পাণ্ডুরঙ্গের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটিও গড়া হবে বলে জানিয়েছেন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
বিসিসিআইয়ের যুগ্মসচিব অমিতাভ চৌধুরী বলেন, “এই ধরনের আচরণ নিয়ে সহ্য করবে না বোর্ড। দোষী ব্যক্তিকে এ নিয়ে অব্যাহতি পাবেন না।”
পুণে পিচ নিয়ে বিতর্ক অবশ্য নতুন নয়। এর আগেও ঘূর্ণি পিচ প্রস্তুত করে বিতর্কে জড়িয়েছে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজে ঘূর্ণি পিচ প্রস্তুত করে আইসিসি-র রোষানলে পড়েছিল এমসিএ। প্রশ্ন উঠে যায় পিচের মান নিয়েও। সে ম্যাচে ৩৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ হেরে যায় বিরাট কোহালি বাহিনী।