কুস্তিতে সোনা জিতে উচ্ছ্বাস বজরং পুনিয়ার।
কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের সোনা জয়ের ধারা অব্যাহত। শুক্রবার গোল্ড কোস্টে ভারতের ১৭ নম্বর সোনা জিতলেন কুস্তিতে বজরং পুনিয়া। পাশাপাশি ব্যাডমিন্টনে দেশকে আরও সোনা এনে দেওয়ার পথে এগোলেন পি ভি সিন্ধু, সাইনা নেহওয়াল এবং কিদম্বি শ্রীকান্ত। তিন জনই সেমিফাইনালে চলে গেলেন শুক্রবার।
চার বছর আগে গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে রুপোজয়ী বজরং এ দিন ৬৫ কেজি ফ্রি স্টাইল ইভেন্টে দাপটে সোনা জেতেন ওয়েলসের কেন শারিগের বিরুদ্ধে। মাত্র দু’মিনিটেই তাঁকে ১০-০ পিছিয়ে বজরং সোনা জয় নিশ্চিত করে ফেলেন। এ ছাড়া শুক্রবার কুস্তিতে ৫৭ কেজি ফ্রিস্টাইল বিভাগে রুপো জেতেন পূজা ঢান্ডা। পাশাপাশি দিব্যা কাকরন প্রথম বার কমনওয়েলথ গেমসে যোগ দিতে নেমে জিতলেন ব্রোঞ্জ। কুস্তি থেকে শুক্রবার ভারতকে শেষ পদকটি দেন মৌসম খাতরি। ফাইনালে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার মার্টিন এরাসমাসের বিরুদ্ধে ২-১২ হেরে রুপো জেতেন। মিক্সড টিম ইভেন্টে সোনা জেতার পরে ব্যক্তিগত বিভাগে সেরা হওয়ার দৌড়ে থাকা শ্রীকান্ত, সিন্ধু এবং সাইনা সহজেই জিতলেন শুক্রবার। সিন্ধু চোটের জন্য মিক্সড টিম ইভেন্টে নামেননি। সিঙ্গলসে সিন্ধু ২১-১৪, ২১-১৭ হারান কানাডার ব্রিটনি ট্যামকে। শেষ চারে তাঁর লড়াই মিশেল লি-র বিরুদ্ধে। চার বছর আগে মিশেলের বিরুদ্ধে হেরে ব্রোঞ্জ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল সিন্ধুকে। সেই হারের শোধ তোলার সুযোগ এ বার।
বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে উঠে আসা শ্রীকান্ত ২১-১৫, ২১-১২ হারান সিঙ্গাপুরের জিন রেই রায়ানকে। ৩৪ মিনিটেই শ্রীকান্ত সেমিফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করে ফেলেন। তাঁকে এ বার লড়তে হবে ২০১০ কমনওয়েলথ গেমসে রুপোজয়ী রাজীব ওসেফের বিরুদ্ধে। ইংল্যান্ডের এই খেলোয়াড়ের সঙ্গে শ্রীকান্তের লড়াই শনিবার।
লড়াই: শেষ চারে ওঠার পথে পি ভি সিন্ধু।
সহজে জিতেছেন সাইনাও। ২০১০ কমনওয়েলথ গেমস চ্যাম্পিয়ন সাইনা ২১-৮, ২১-১৩ হারান কানাডার র্যাচেল হন্ডেরিচকে। তাঁর সামনে এ বার স্কটল্যান্ডের ক্রিস্টি গিলমোর। ২০১৪ কমনওয়েলথ গেমসে ক্রিস্টি রুপো জিতেছিলেন। জিতেছেন এইচ এস প্রণয়ও। তবে প্রণয়ের সামনে এ বার কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। তাঁকে লড়তে হবে তিন বারের অলিম্পিক্স রুপোজয়ী লি চং উয়েইয়ের বিরুদ্ধে।
ছবি: পিটিআই