হারের পর হতাশ বিরাট কোহালি। ছবি: রয়টার্স।
সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে জেতারও অধিকার নেই, এমনটাই মনে করেন বিরাট কোহালি। চতুর্থ টেস্ট হারের জন্য সেই সুযোগকে কাজে না লাগাতে পারাকেই কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন ভারত অধিনায়ক। আর সঙ্গে বৃষ্টি তো ছিলই। যেটাকে হারের মুখ্য কারণ বলছেন শিখর ধবন। একই ওভারে ডেভিড মিলারের উইকেট দু’বার মিস করাকে হারের একটা অন্যতম কারণ বলছেন বিরাট। বলেন, ‘‘এই ম্যাচে সুযোগগুলো কাজে লাগানো উচিৎ ছিল।’’
শুরুটা ভালই করেছিল ভারত। এবি ডে ভিলিয়ার্স যখন প্যাভেলিয়নে ফেরেন তখনও জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিস ১০০ রান। হাতে রয়েছে ৬৭ বল। প্রথমে যুজবেন্দ্র চাহালের বলে ডিপ স্কয়্যার লেগে যখন ডেভিড মিলারের ক্যাচ ফেলেন শ্রেয়াস আইয়ার তখন তাঁর রান মাত্র ৬। সেই ওভারেই নো-বলে বোল্ড হন মিলার। দু’বার প্রাণ ফিরে পেয়ে তাঁর ৩৯ রানের ইনিংসের সুবাদে ক্লাসেনের সঙ্গে ৭২ রানের পার্টনারশিপটাই অনেকটা পার্থক্য গড়ে দেয়।
বিরাট বলেন, ‘‘যখন এবি আউট হল আমরা ভেবেছিলাম আমরা ম্যাচে রয়েছি। কিন্তু ওই দুটো মিসই আমাদের গেম থেকে দুরে নিয়ে গেল। নো-বল পুরো দলের বড় ক্ষতি করে দেয়। যেটা আমাদের ঠিক করতে হবে। এর যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেটা দেখতে হবে।’’ অধিনায়ক মনে করেন, যে ভাবে তাঁরা ভুল করেছে তাতে ভারতের জেতার কথা ছিল না। বৃষ্টির পর ৮৯ রানে ভারতের ৫ উইকেট চলে গিয়েছিল। শেষ করেছিল ২৮৯/৭এ।
দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে সিরিজে বেঁচে থাকার উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন
ভারতীয়দের মধ্যে সেরা পাঁচে বিরাট
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে যখন খেলা বন্ধ হয় তখন ৪৩ রানে ১ উইকেটে খেলছে। লক্ষ্য কমে দাঁড়ায় ২০২। হাতে ২০.৪ ওভারে। বিরাটের কথার রেশ ধরে এই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা শিখর ধবনও মনে করছেন ডেভিড মিলারের দু’বার বেঁচে যাওয়াটাই তাঁদের হারের কারণ। ধবন বলেন, ‘‘আমাদের হারের আসল কারণ অবশ্যই ক্যাচ ফেলা আর নো-বলে উইকেট। সেখান থেকেই ম্যাচটা আমাদের হাত থেকে বেরিয়ে যায়। তার আগে পর্যন্ত আমরা খুব ভাল জায়গায় ছিলাম।’’
ধবনের মতে, বৃষ্টি একটা বড় ধাক্কা তো দিয়েই ছিল। বল ভিজে হওয়ায়ও বোলারদের সমস্যা হয়েছে বলে মনে করেন শিখর। আর প্রথম তিন ওয়ান ডের মতো বোলাররা সে ভাবে নিজেদের সেরাটাও এই ম্যাচে দিতে পারেননি বলে মনে করেন সেঞ্চুরির মালিক।