ক্রিকেট মাঠে অভব্য আচরণের অভিযোগ মেনে নিলেন অস্ট্রেলীয় ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। আইসিসি-র বিধি অনুযায়ী লেভেল টু শাস্তি হয়েছে ওয়ার্নারের। ৭৫ শতাংশ ম্যাচ ফি কাটার পাশাপাশি একটি টেস্টে নির্বাসিত হতে পারতেন ওয়ার্নার। কিন্তু অভিযোগ মেনে নেওয়ায় তিনটি মেরিট পয়েন্টও কাটা হল অস্ট্রেলীয় বাঁ-হাতি ওপেনারের। আর একটি মেরিট পয়েন্ট কাটা হলে হয়তো একটি ম্যাচ নির্বাসিত করা হতো ওয়ার্নারকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি’কক-এরও আইসিসির বিধি অনুষায়ী লেভেল ওয়ান শাস্তি হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাচ ফি কাটা হতে পারে ডি’কক-এর। তবে তিনি সেই অভিযোগ মানতে রাজি হননি। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করাই এখন মূল লক্ষ্য দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষকের।
অস্ট্রেলিয়ার এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের শেষ দিন লাগাতার এক ঘণ্টা ধরে কুইন্টন ডি’কক-কে স্লেজ করেছেন ওয়ার্নার। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে পরিবার সম্বন্ধে গালিগালাজ শুরু হয় যা চলে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত। ডারবানের টানেলে পরিস্থিতি এমন জায়গায় চলে গিয়েছিল যে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হওয়ার উপক্রম হয়ে ওঠে। গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়েছে যে, তখনই উসমান খোয়াজা ও নাথান লায়ন এসে ওয়ার্নার-কে ড্রেসিং রুমের দিকে নিয়ে যায়। দিনের শেষে অবশ্য দু’দলের ক্রিকেটারেরা তাঁদের পক্ষেই কথা বলেছেন। বুধবার সেই সুরে সুর মেলালেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক টিম পেন।